নারায়ণগঞ্জের খবরঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শুদ্ধি অভিযানে যারা তালিকায় রয়েছেন তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। ছাত্রলীগ হওয়ার পরও আবরার হত্যাকারীদের ছাড় দেননি প্রধানমন্ত্রী। তেমনি অন্যায়কারী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

শনিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনা ঘাট এলাকায় পুরনো মেঘনা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের সংস্কারকাজ পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আবরার হত্যাকাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সব আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতো কম সময়ে এতো বড় ঘটনার সব আসামি গ্রেফতার দেশে নজিরবিহীন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হওয়ার পরও তাদের কোনো ছাড় দেয়া হয়নি। তেমনি শুদ্ধি অভিযানে যারা টার্গেটে রয়েছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

বিএনপি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের সঙ্গে আমরা বৈরী সম্পর্ক চাই না। আমরা চাই বিরোধী দল কনস্ট্রাক্টিভ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। আমরাও তাদের ব্যাপারে অনেক সহনশীল।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য থাকার পরও একজন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য দেয়া হয়েছে। সংসদের প্রতিটি সারিতে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের একজন দেয়া আছে। তারা পার্লামেন্টের ভেতরে বাইরে যা খুশি বলছেন । বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। কোনো বাধা দেয়া হচ্ছে না। যে সহনশীল আচরণ করা হচ্ছে তা শেখ হাসিনার সরকার আছে বলেই করা হচ্ছে।

দলের কাউন্সিল প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী নভেম্বরের মধ্যে আওয়ামী লীগের সহযোগী যেসব সংগঠনের মেয়াদ সাত-আট বছর পেরিয়ে গেছে সেসব সংগঠনের সম্মেলন শেষ হবে। এসব সম্মেলনে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে নেতৃত্ব গঠন করা হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা একজন চেঞ্জ মেকার। তিনি সব সময়ই সম্মেলনের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করেন। আওয়ামী লীগের সম্মেলন নির্ধারিত সময়ে হবে। সেই সম্মেলনে নবীন-প্রবীণের সমন্বয় ঘটবে। সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটিতে অনেক নতুন মুখের জায়গা হবে।