নিজস্ব প্রতিবেদক: বিতর্ক যেনো পিছু ছাড়ছেনা পাগলা শাহিবাজার মসজিদ ও কবরস্থান কমিটির। কবরস্থানের জমি বিক্রয় ও মসজিদ-কবরস্থানের নামে উত্তোলনকৃত অর্থ আত্মসাতের পর এবার বিতর্কিতও অমানবিক এক সির্দ্ধান্ত গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে শাহি বাজার মসজিদ ও কবরস্থান কমিটির বিরুদ্ধে।
পাগলা মুসলিমপাড়ার কোন মৃত ব্যক্তির দাফন শাহীবাজার কবরস্থানে করতে না দেওয়ার সির্দ্ধান্ত গ্রহন করার অভিযোগ উঠেছে শাহীবাজার বর্তমান মসজিদ ও কবরস্থান কমিটির বিরুদ্ধে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত পাগলার শাহীবাজার এলাকায় মসজিদ ও কবরস্থানের কমিটি নিয়ে দন্ধ চলে আসছে। কবরস্থান ও মসজিদের কাজ নিয়ে ইতিপূর্বে অনেক আন্দোলন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে পূর্বের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সুষ্ঠ সমাধান ও স্বচ্ছ কমিটি গঠন করার জন্য আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে আহ্বায়ক কমিটির আহবায়ক জসিমকে সভাপতি করে ৩৬ সদস্যের পুনাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু কমিটির বিতর্ক যেনো কোন মতেই পিছু ছাড়ছে না।
এই বিষয়ে বর্তমান কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে, তিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে কবরস্থানের জায়গা সংকলনের জন্য কাজ করার শর্তে পূর্ব-পশ্চিম দিকে কবর দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ কবরস্থান এবং মসজিদ নিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করছে আলাউদ্দিন হাওলাদার।
এই বিষয়ে কবরস্থান কমিটির সহ-সভাপতি আঃ খালেক মুন্সি বলেন আমি বিষয়টি সম্পূর্ণ জানিনা যদি এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে থাকে সেটা অবশ্যই মানবতাবিরোধী আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এই বিষয়ে কবরস্থান কমিটির কোষাধ্যক্ষ মোজাফফর বলেন, ঈদের দিন মুসলিম পাড়া মসজিদে কবরস্থানের টাকা উঠানোর জন্য নিষেধ করেছেন আলাউদ্দিন হাওলাদার এই বিষয়ে নয়া মাটির হুমায়ূন কমিটিকে জানাইলে এলাকা সাধারণ জনগণসহ কমিটির সমস্ত লোকজন মানববন্ধন এর মত একটি সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিল পরবর্তীতে তা বাতিল হয় এবং সিদ্ধান্ত হয় মুসলিম পাড়া থেকে যেহেতু কবরস্থানের টাকা দেয়া হবে না কবরস্থানে মুসলিম পাড়ার কোন লোক দাফন করতে দেয়া হবে না।
কবরস্থানে কবর খননকারী সেলিমের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান কমিটির সভাপতি জসিম ভাই আমাকে বলেছেন মুসলিম পাড়ার কোন লোক কবরস্থানে দাফন করতে এলে তার কাছে জিজ্ঞেস না করে যেন কবর খনন না করি।
এ বিষয়ে কবরস্থানের খাদেম বলেন, আলাউদ্দিন মেম্বার মুসলিমপাড়া মসজিদের টাকা আনার জন্য আমাকে ফোন করেছিল কিন্তু জসিম ভাই আমাকে টাকা আনতে নিষেধ করেছে যদি আলাউদ্দিন মেম্বার নিজে এসে টাকা দিয়ে যায় তাহলে অন্য কথা। তার কোন লোক দিয়া টাকা পাঠালেও টাকা নিতে নিষেধ করেছেন আমাকে।
এ বিষয়ে আলাউদ্দিন মেম্বার বলেন, কবরস্থান মানুষের শেষ ঠিকানা মসজিদ আল্লাহর ঘর সেখানে টাকা দেওয়ার কথা আমি নিষেধ করব কেন, তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন আমি এই ধরনের কোন কথা বলিনি যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে আমি আমার দোষ স্বীকার করে নিবো আমি একা মসজিদে নামাজ পড়িনি এলাকার সবাই ছিল সবার সাথে কথা বলেন আমি এই ধরনের কোনো কথা বলেছি কিনা।
Leave a Reply