এসপি হারুনে স্বস্তি ফিরেছে নারায়ণগঞ্জে

554

নারায়ণগঞ্জের খবরঃ পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদেই নারায়ণগঞ্জে স্বস্তি। ইতোমধ্যে মাদক, সন্ত্রাস,ফুটপাত নিয়ে শতভাগ সফলতা পেয়েছেন তিনি। এসপির প্রশাংসায় পঞ্চমুখ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন দলের রাজনীতিক ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। কোন অপরাধীকে ছাড় দিবে এমন ঘোষণার পর থেকে পুলিশ সুপার নানামুখী কাজ শুরু করে। ইতোমধ্যে শহর ও শহরের বাইরের বেশ কিছু আলেঅচিত সন্ত্রাসী ও বিতর্কীত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে বেশ আলোচিত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ। নারায়ণগঞ্জোর অপরাধীদেও কাছে তিনি এখন আতংকের নাম। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের যেসব নেতা দল ও দলের শীর্ষ নেতাদের নাম ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত ছিল সে সমস্ত নেতারা আতংকের মধ্যে দিন পার করছে। অনেকটা বিরোধী দলের নেতাদের মতোই তারা জীবন যাপন করছে। তবে পুলিশ সুপারের এসব উদ্যোগেকে স্বাগত জানিয়ে সাধারন মানুষ। নারায়ণগঞ্জের কয়েক যুগের কিংবা দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হয়েছে বর্তমান পুলিশ সুপার যোগদানের পর। শহরের ফাটপাত হকার মুক্ত করার পর এবার তিনি পাগলা সড়কের ফুটপাত দখল মুক্ত কারার ঘোষণা দিয়েছেন।

গতকাল রোববার বেলা ১২টায় শহরের মীর জুমলা সড়কের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলে। এর আগে বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাত ও মীর জুমলা সড়কের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা(পাগলা) সড়কের দাই পাশের ফুটপাত অবৈধ দখলদারদেও হাত থেকে উদ্ধার করবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।

এসময় তিনি বলেন নারায়ণগঞ্জের মানুষ যদি অশান্তিতে থাকে চাঁদাবাজদের কারণে থানায় যেতে না পারে এক্ষেত্রে কেউ যদি আমাদের কাছে আসে আমরা সেবা দেয়ার চেষ্টা করবো। আপনি যে কষ্টার্জিত টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন তা ফেরত পাওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যেতে চাই। আপনার পাশের বাড়িতে কোন জঙ্গি, মাদকাসক্ত কিংবা মাদক ব্যবসায়ী আছে কিনা তা গোপনে তথ্য দিবেন। আমরা আপনাদের সেবায় কাজ করবো।

মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। ইনশাল্লাহ অব্যাহত থাকবে। এখানে কোন মাস্তান জমি, ফ্ল্যাট ও মানুষদের হয়রানি করতে পারবে না। আমরা এদেরকে আইনের আওতায় আনব। এবং আমরা আইনের আওতায় কাজ করছি। ফুটপাতের মধ্যে কারো পকেট ছিনতাই বা কারো স্বর্ণের কোন গহনা চুরির কোন ঘটনা আমরা পাচ্ছি না। ফুটপাত ক্লিয়ার থাকার ফলে আমরা চাষাঢ়া থেকে ১নং ও ২নং রেল গেইট পর্যন্ত ৭-৮ মিনিটের মধ্যে হেঁটে চলে আসতে পারছি। আমরা এখন চাষাঢ়া-ফতুল্লা পর্যন্ত অবৈধ পার্কিং আর পঞ্চবটি থেকে মুন্সিগঞ্জের রাস্তাটি আমরা পরিষ্কার করার চেষ্টা করবো। তবে সাধারন মানুষের মতে, পুলিশ সুপারের এসব কাহ অবশ্যই প্রশংসনীয়। রাজনৈতিক নেতা কিংবা স্থানীয়দের মাধ্যমে যা করার সহজন হচ্ছিল না, বর্তমান পুলিশ সুপার তা সহজেই করতে সক্ষম হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন...