নারায়ণগঞ্জের খবর:

আড়াইহাজারে এসিড দিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রী, সন্তানের মুখ ঝলছে দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত খোকন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১। বুধবার দিনগত রাত ২টায় কুমিল্লা জেলার তিতাস থানাধীন রায়পুর পুরান বাতাকান্দি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে।

এসিডে ঝলসানো স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার এবং ছয় বছরের শিশু কন্য মারিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গত ২৩ জুন আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার সদাসদী কাজীপাড়া গ্রামে ঘটলেও গত ৪ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ভূক্তভোগির মা সাহেদা বেগম বাদী হয়ে থানায়  মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত খোকন পলাতক ছিল।

মামলার বাদী সাহেদা বেগম জানায়, মোর্শেদা আক্তারের প্রথম স্বামীকে তালাক দেয়ার পর তার একমাত্র শিশু কন্যা মারিয়াকে নিয়ে মা সাহেদা বেগমের সাথে বসবাস করছে।

গত ৫ মাস আগে গোপালদী পৌরসভার গায়েনপাড়া এলাকার মৃত আনসর আলীর ছেলে খোকন মিয়া সাথে পারিবারিকভাবে মোর্শেদা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সন্তান তার নানার বাড়ি রেখে আসা নিয়ে মোর্শেদাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে।

গত তিন মাস আগে স্ত্রী মোর্শেদাকে বেধরক পিটিয়ে সন্তানসহ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর থেকে মোর্শেদা তার কন্যা  মারিয়াকে নিয়ে মা-বাবার সাথে বসবাস করে আসছে। গত ২৩ জুন রাত ৮ টার দিকে খোকন রাগের বশবতী হয়ে শয়ন কক্ষের জানালায় ফাঁকে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করে। এতে তার স্ত্রী মোর্শেদার ডান পায়ের উরু ও ছয় বছরের শিশুসন্তান মারিয়ার মুখ ঝলছে যায়। এসিডের যন্ত্রনায় আর্তচিৎকার করলে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।