রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন

এসিড মামলার আসামী সাইফুলের জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন

নারায়ণগঞ্জের খবরঃ ফতুল্লার চাঞ্চল্যকর এসিড মামলার আসামী গ্রেফতারকৃত সাইফুলের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহন করেছে আদালত।বৃহঃস্পতিবার সকালে আসামী সাইফুলের উপস্থিতিতে আবেদন প্রত্যাহারের শুনানী হয়। এ বিষয়ে সাইফুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিকা গাঙ্গুলী বলেন,সাইফুল গত ২৬/০২/২০২০ ইং তারিখে সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে কাউছার আলমের নিকট দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রত্যাহার চেয়ে গত ১৬/০৩/২০২০ ইং তারিখে আবেদন করা হলে আজ তা গ্রহন করা হয় এবং আসামী সাইফুলের উপস্থিতিতে শুনানীকালে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে মাহমুদুল মহসীন জবানবন্দী প্রত্যাহারের আবেদনটি গ্রহন সহ মামলার নথীতে আবেদনটি অর্ন্তভ‚ক্ত করার নির্দেশ দেন। তিনি আরো জানান,রিমান্ডে নিয়ে আসামী সাইফুলকে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে এমনকি এনকাউন্টারের হুমকী দিয়ে জবানবনন্দী প্রদানের বাধ্য করা হয়েছে। আর তাই জবানবন্দী প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়।

এদিকে, আদালতে সাইফুলের স্বজনদের সাথে আলাপকালে তারা জানায়,মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই অফিসার সাইফুলকে অতি গোপনে রিমান্ডে নিয়ে গিয়ে তাকে ভেজা ছালার বস্তায় ভরে ইলেকট্রিক শকসহ হাত-পা,চোখ বেধে লোহার পাইপ,হকিস্টিক দিয়ে বেদম প্রহার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদানে বাধ্য করে। তারা আরো জানায়, চলতি মাসের ২ তারিখে জেলা কারাগারে সাইফুলের সাথে তারা দেখা করতে গেলে সাইফুল নির্যাতনের ভয়াবহতার কথা তুলে ধরে বলেন,মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জহির সহ ৫ থেকে ছয়জন হাত-পা-চোখ-মুখ বেধে লোহর পাইপ,হকিস্টিক দিয়ে বেদম প্রহার করে। এ সময় পিবিআই কর্মকর্তাদের একজন বলাবলি করছিলো এখানে সি,সি ক্যামেরা নেই তাই মারলে ও কোনো প্রমান মিলবেনা। এরপর তাকে একটি ভেজা বস্তায় ভরে ইলেক্ট্রিক শক দেওয়া হয়েছে। এ সকল কথা বলতে বলতে সাইফুল অসুস্থ হয়ে হঠাৎ করে মাটিতে লুটিয়ে পরে।

উল্লেখ্য যে,গত বছরের ৩০/৯/২০১৯ ইং তারিখ রাতে ফতুল্লা রেল লাইন বটতলা এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা মুন্নাকে এসিড দিয়ে জ্বলসে ও কুপিয়ে হত্যা করার চেস্টা চালায় দুবৃত্তরা। এ ঘটনায় মুন্নার ছোট ভাই শাওন বাদী হয়ে বরিশাইল্বলা টিপুকে প্রধান আসামী করে গ্রেফতারকৃত সাইফুল,সাইফুলের ভাই সাগর,কাইয়ুম,বরিশাইল্লা টিপুর ভাগিনা ডাকাত রেহান,ফেন্সি রাজিব সহ ছযজনের নাম উল্লেখ্য এবং অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ ঘটনার রাতেই মামলার ২ নং সাইফুল কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও অপর আসামীরা আজো রয়ে গেছে ধরা-ছোয়ার বাইরে। মামলাটি পরবর্তীতে ফতুল্লা থানা থেকে পিবিআইতে পরিবর্তন করা হয়।আর শুরু থেকেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জহিরের বিরুদ্বে অসোন্তষ প্রকাশ করে আসছিলো আহত মুন্নার পরিবারের সদস্যরা। তারা শুরু থেকেই বলে আসছিলো মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলা তদন্তের নামে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মামলার প্রধান আসামী বরিশাইল্লা টিপু সহ অপর আসামীদের বাদ দেয়ার চেস্টায় লিপ্ত রয়েছে।এমন আশংকায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন চেয়ে এবং পক্ষপাত্বিতের অভিযোগ এনে আহত মুন্নার বাবা মিরাজ হোসেন পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয় সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন...

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

    © All rights reserved © 2023
    Design & Developed BY M Host BD