সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন

কঠোর অবস্থানে বিকেএমইএ

নারায়ণগঞ্জের খবরঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রামন রোধে গত ২৫ মার্চ নীট গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ এর পক্ষ থেকে সংগঠনটির সভাপতি এ.কে.এম সেলিম ওসমান সকল সদস্য প্রতিষ্ঠান গুলো ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা গুলো বন্ধ রাখতে মালিকদের প্রতি অনুরোধ রেখে ছিলেন। তার একদিন পর ২৬ মার্চ আরএমজি সেক্টরের আরেক বৃহৎ সংগঠন বিজিএমইএ এর সভাপতি ড. রোবানা হকও সংগঠনটির সদস্য প্রতিষ্ঠান গুলোকে একই অনুরোধ করে ছিলেন। এদিকে ২৭ মার্চ বিকেএমইএ সভাপতি এ.কে.এম সেলিম ওসমান আরেক বিবৃতিতে বিকেএমইএ এর আওতাভুক্ত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সকল কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

অনুরোধের ২ দিন পর ২৭ মার্চ কঠোর অবস্থানে গিয়ে কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান প্রসঙ্গে বিকেএমইএ এর সভাপতি সেলিম ওসমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছেন। রাস্তায় চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা একত্রে ২জন অধিক ব্যক্তি এক সাথে রাস্তায় চলাফেরা করতে নিষেধ করেছেন। গনপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। সেই সাথে হোটেল রেস্তোরা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে করে আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনদের যাতায়াত এবং খাওয়া দাওয়ায় ভীষন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের মাঝে কেউ করোনা রোগে আক্রান্ত হয়েছে কিনা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা নিজেরাও চাচ্ছি আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের কারখানা গুলো বন্ধ থাকুক। পরবর্তী সময়ে কারখানা চালু হলে প্রতিটি কারখানার ভেতরে অবশ্যই মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করতে হবে। সেই কারখানা এবং শ্রমিকদের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া সম্পর্কে সকলকে সচেতন করতে হবে। যদি কোন কারখানায় কোন শ্রমিকের জ¦র হলে বা শারীরিক ভাবে অন্য কোন অসুস্থ্যতা আছে কিনা তা শর্নাক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

তিনি আরো বলেন, যে সকল কারখানা গুলো এখনো এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বিশেষ করে হাত ধোয়ার জন্য সুব্যবস্থা করতে হবে। সেই সাথে শ্রমিক সহ সকলের মাস্ক পড়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। গণমাধ্যমে সরকারী ভাবে যে সকল সর্তকবার্তা প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো সম্পূর্ন ভাবে মেনে কারখানা চালানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষ করে পঞ্চবটি বিসিক শিল্প নগরীতে অথবা একই স্থানে পাশাপাশি অবস্থানে একাধিক কারখানা গুলোতে কোন অবস্থাতেই যেন মালিক বা শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত না হয় তার সুব্যবস্থা করতে হবে।

বিকেএমইএ এর সভাপতি বলেন, কেউ কারখানা বন্ধ রাখবে কেউ কারখানা বন্ধ রাখবে না তাতে উদ্যোক্তা এবং শ্রমিকের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। যেকোন অবস্থায় জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে করোনা ভাইরাসকে দমন করতে হবে। সেই সাথে প্রতিটা উদ্যোক্তাকে যথাসময়ে মার্চ মাসের বেতন শ্রমিকদের পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। সকলের সহযোগীতায় ঘরে বসে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়ার একমাত্র পথ। কোন অবস্থায় আমাদের শ্রমিক ও কর্মকর্তা ঘরে বাইরে না যান। কোন প্রকার আড্ডাবাজি এবং চায়ের দোকান গুলোতে জড়ো না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন...

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

    © All rights reserved © 2023
    Design & Developed BY M Host BD