বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ১০:৩৪ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবর: নারায়ণগঞ্জে দু:স্থ মানুষদের খাদ্য সহায়তা দেয়া শুরু করেছেন সেনাবাহিনী। রোববার সদর উপজেলার ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের লামাপাড়া এলাকা থেকে এই সেবা কার্যক্রম শুরু করেন তারা। সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, মানুষকে ঘরে রাখার ব্যাপারে সচেতন করার পাশাপাশি তাদের খাদ্য সংকট দূর করতেই সেনাবাহিনীর এই প্রচেষ্টা।
রোববার ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি ডাল, সমপরিমান তেল, আলু, পেঁয়াজ ও সাবানসহ নিত্যপয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রীর একটি করে প্যাকেট তুলে দেন কর্মহীন অসহায় পরিবারের মানুষগুলোর হাতে। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ যার যার ঘরে থাকতে অনুরোধও করেন সেনা কর্মকর্তারা।
সেনা কর্মকর্তারা জানান, আইইডিসিআর নারায়ণগঞ্জকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করলে গত ২৪ মার্চ থেকেই জেলায় মাঠে নামে সেনাবাহিনী। পরবর্তীতে ৭ এপ্রিল পুরো জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হলে সেনা কার্যক্রম আরো জোরদার করা হয়। টহল কার্যক্রমসহ করোনার ভয়াবহতার ব্যাপারে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক বিতরণও করেন তারা। তবে লকডাউন পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি মানুষের খাদ্য সংকটের বিষয়টি উপলব্ধি করে হতদরিদ্র মানুষদের খাদ্য সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়।
এদিকে এ পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি কোন ভাবেই কোন ধরণের সহযোগিতা না পেয়ে অনাহারে ও হতাশায় জীবনযাপন করছিলেন কুতুবপুর এলাকার নিন্ম শ্রেণির পরিবারগুলো। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো তারা সহায়তা পেলেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৪৫ এম.এল.আর.এস এর ভারপ্রাপ্ত উপ-অধিনায়ক মেজর আহসান উজ্জামান জানান, নারায়ণগঞ্জে এখন পর্যন্ত কোন কোন এলাকায় ত্রান বা খাদ্য সহযোগিতা পৌঁছায়নি সে বিষয়ে তারা খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং তথ্য সংগ্রহ করছেন। সেই আলোকে আজ রোববার থেকে কুতুবপুর এলাকার একেবারেই নিন্মশ্রেণির মানুষদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী নিজেরাই পৌঁছে দিয়েছেন। এতে করে একেকটি পরিবারের অন্তত পনের থেকে বিশদিনের খাবারের চাহিদা পূরণ হবে বলে তিনি মনে করেন। পর্যায়ক্রমে জেলার অন্যান্য এলাকাগুলোতেও দু:স্থদের মধ্যে এই খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে বলেও জানান সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply