বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৮ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবরঃ ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে ঘিরে কুতুবপুরের রাজনীতিতে আবারো বিভাজন দেখা দিয়েছে। ত্যাগী এবং সুবিধাবাদী নেতাদের মধ্যে প্রকাশ্যে দ্বন্ধ শুরু হয়েছে বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ বিভক্ত হয়ে একই দিনে পৃথক দুইটি সভা করেছে বলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে সাবেক সাংসদ কবরীর সময়ে বেশ দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত এবং বর্তমানে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আলাউদ্দিন হাওলাদারসহ বেশ কিছু নেতা স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, বিতর্কীত আলাউদ্দিন হাওলাদার কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ ভাগিয়ে নিতে পৃথক একটি বলয় গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। আর এ নিয়ে মূলত কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিভাজন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আলাউদ্দিন হাওলাদার তার বলয়কে শক্তিশালী করতে কবরীর সময়ের ক্যাডার সেলিম খানকেও এলাকায় ফিরিয়ে এনেছেন। ইতোমধ্যে সেলিম খানকে নিয়ে আলাউদ্দিন হাওলাদার বেশ কয়েকবার এলাকায় প্রকাশ্যে শোডাউন করেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তবে থানা আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারনি ফোরামের দাবি, বিতর্কীত কাউকে আওয়ামী লীগে স্থান দেয়া হেেব না। দলের ত্যাগী এবং মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় পরীক্ষিত নেতাদের সমন্বয়েই হবে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের কমিটি।
সূত্রমতে, চলতি মাসে কিংবা আগামী মাসের প্রথম দিকে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সম্পন্ন হবে। এরপর ইউনিয়ন কমিটিগুলো ঢেলে সাজানো হবে। আর এসব খবরে নড়েচড়ে বসেছে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দলের গুরুত্বপূর্ন পদ ভাগিয়ে নিয়ে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। আর এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে তৎপরতা শুরু করেছে। গত ২দিন পূর্বে থানা আওয়ামী লীগ ও কুতুবপুর ইওয়ামী লীগের কাউন্সিল নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এক টেবিলে না বসে পৃথক দুইটি স্থানে সভা করেছেন। আর এই সভার মধ্যদিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বিভাজন প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়মী লীগের বর্তমান সভাপতি জসিম উদ্দিন আবারো স্ব পদে বহাল থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল খালেক মুন্সিকে সাধারন সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করার। অন্যদিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে তৎপর হয়ে উঠেছে সাবেক সাংসদ কবরীর সময়ের দাপুটে নেতা আলাউদ্দিন হাওলাদার। যার বিরুদ্ধে বিএনপির সাথে আতাঁত করারও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া সাধারন সম্পাদক হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আলাউদ্দিনের সাথে বর্তমান ওয়ার্ড সাধারন সম্পাদক ও সাবেক মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম। অপরদিকে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হিসেবে আব্দুল মালেক মুন্সির নাম উঠে এসেছে। আব্দুল মালেক মুন্সি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় রয়েছেন। সাধারন সম্পাদক হিসেবে উঠে এসেছে ইউনিয়ন যুবলীগের বর্তমান যুগ্মত সম্পাদক নিশাদ আহমেদের নাম। তবে থানা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মতে, বিতর্কীত কাউকে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনে স্থান দেয়া হবে না। দলের ত্যাগী,পরীক্ষিত এবং সক্রিয় নেতাদের নিয়েই আগামীতে কমিটিগুলো পূর্নগঠন করা হবে।
Leave a Reply