শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৬ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবর: এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী চাঁদ সিকদার সেলিম ও ইমরান বাহিনীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় লিমন, ছোট ইমরানসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে। সোমবার দিনব্যাপী থেমে থেমে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে, সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগের জের ধরে বাদীকে পেটানো সহ বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে স্বশস্ত্র মহড়া দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সন্ত্রাসী চাঁদ সিকদার সেলিমের বিরুদ্ধে। সন্ধ্যার সময় সিন্ত্রাসী চাঁদ সেলিম বাহিনী বিশাল বাহিনী নিয়ে ছোট এমরান নামের এক যুবককে পিটিয়ে অপহরনের চেষ্টা করলে এলাকাবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুলে সেলিম বাহিনীকে ধাওয়া করলে অন্যান্য সন্ত্রাসী পালিয়ে যেকে সক্ষম হলেও এলাকাবাসীর গণেধোলাইয়ের শিকার হয় সন্ত্রাসী চাঁদ সেলিম। এসময় এমরান ও লিমন নামে ২ যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক-উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘটনার বিবরনীতে হামলার শিকার বৌ বাজারের মৃত রওশন আলীর পুত্র মোঃ রমজান আলী জানায়,সোমবার দুপুরে একই এলাকার আব্দুল খালেক মিয়ার পুত্র চিন্থিত সন্ত্রাসী চাদঁ সিকদার সেলিম(৩৫), আব্দুল মালেক মিয়ার পুত্র সাইফুল (৩৩), শহিদ মিয়ার পুত্র সবুজ(২৫), ফোরকানের পুত্র নাজিম (২৬), ও আবু সাইদের পুত্র সোহাগ(২২), ক্রসফায়ারে নিহত কিলার মোক্তারের সহেযাগী অনিক সহ ৮/১০ জন সন্ত্রাসী সোমবার দুপুরে দেশীয় তৈরী অস্ত্র- সস্ত্র নিয়ে তার বাসায় প্রবেশ করে তাকে গালমন্দ করা সহ তাকে মারতে আগাইয়া আসিলে সে ডাক চিৎকার করিলে তার পরিবারের সদস্যরা আগাইয়া আসিলে সন্ত্রাসীরা পরিবারের সদস্যদের সামনেই তাকে হত্যা করার হুমকী দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ঘটনায় রমজান আলী বাদী হয়ে উল্লেখিত সন্ত্রাসী দের নাম উল্লেখ্য করে ফতুল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফতুল্লা থানার এস,আই বায়েজিদ ঘটনার তদন্ত গেলে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা পুলিশের সামনেই তাকে গালমন্দ করে মারতে এগিয়ে আসলে পুলিশ তাদের কে বাধা প্রধান সহ ধমক দিয়ে থামিয়ে দেয়।
অপরদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী সেলিম তার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে এলাকার ছোট ইমরান নামে এক যুবককে অপহরনের চেষ্টা করলে এলাবাসী এগিয়েে এসে সন্ত্রাসী চাঁদ শিকদার সেলিম বাহিনীকে ধাওয়া করলে অন্যান্য সন্ত্রাসী পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও সন্ত্রাসী সেলিম স্থানীয় এলাকাবসাীর গণধোলাইয়ের শিকার হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার এস আই বায়েজিদ জানান বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি ঘটনার তদন্তে গিয়ছিলেন এবং বিবাদীদের কে কড়া ভাষায় শাসিয়ে দেন এবং বলেন দেশের এই পরিস্থিতিতে বাদী এবং বিবাদীদেরকে অনাকাংখিত ঘটনা বা সহিংস ঘটনা এড়িয়ে চলার কথা বলে তিনি চলে আসছিলেন। কিছু দুর এগিয়ে আসার পর বাদীর ডাক শুনে তিনি দৌড়ে গেলে বিবাদীদের ধাওয়া দিলে বিবাদীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
Leave a Reply