রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবরঃ কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে বহাল থাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জসিম উদ্দিন। আর এই পদে আসতে তৎপরতা চালাচ্ছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আলাউদ্দিন হাওলাদার। কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন এক সময় পলাশের রাজনীতি করলেও পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে শামীম ওসমান বলয়ে চলে আসেন। পলাশের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে রাজনীতির মাঠে আলোচিত হওয়া জসিম স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে কর্মীবিহীন নেতা হিসেবে পরিচিত। এছাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মধ্যে একাধিক বলয় তৈরীরও কারিগড় তিনি এমন অভিযোগ স্থানীয় নেতকর্মীদের। আর এ কারণে জসিমের পাশে কোন কর্মী থাকতে চায় না। যে কারণে দলের হয়ে কোন সভা-সমাবেশে অংশ নিতে হলে অন্যের দ্বারস্থ হোন এই নেতা। যে কারণে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের পরিবর্তন চায় স্থনীয় নেতাকর্মীরা। জসিম উদ্দিনের কমিটির সাধারন সম্পাদক মানিক চাঁন বয়সের ভারে ন্যুজ্য। তাকে আওয়ামী লীগের কর্মকান্ডে দেখা গেলে সক্রিয় রাজনীতি থেকে পিছিয়ে পরেছেন। তবে সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনের পাশেই তাকে দেখা যায়। ইউনিয়নের কর্মকান্ডে তাকে কাছে পাচ্ছে না কর্মীরা এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
অন্যদিকে, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আলাউদ্দিন হাওলাদার আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি তার মতো করে কাজ করে যাচ্ছেন। আলাউদ্দিন হাওলাদারের কর্মী সমর্থকও রয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাশেও থাকেন এই নেতা। যে কারণে কর্মীরাও চাচ্ছেন আলাউদ্দিন হাওলাদারই হোক কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। সাধারন সম্পাদক হিসেবে কর্মীদের কাছে বেশ গ্রহনযোগ্য নেতা হচ্ছেন আবদুল খালেক মুন্সি। তিনি কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগ বলতে আবদুল খালেক মুন্সিকেই বুঝে থাকেন নেতাকর্মীরা। তিনি যুবলীগের নেতা হলেও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে চাঙ্গা রাখতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন নেতাকর্মীদের নিয়ে। বিগত চার দলীয় জোট সরকারের সময় যুবলীগ নেতা আবদুল খালেক শুধু কুতুবপুরেই নয়, শহরে এসেও আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছেন। চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে শহরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্লোগান দেয়ার মতো যে ক’জন নেতা ছিল তাদের মধ্যে আবদুল খালেক অন্যতম। নেতাকর্মীদের কাছে আবদুল খালেক বেশ জনপ্রিয় নেতা। যে কারণে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে আবদুল খালেক দেয়ার দাবী জানিয়েছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তবে এ পদে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের নামও শোনা যাচ্ছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে, জসিম উদ্দিন এক সময় পলাশের আস্থাভাজন হয়ে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও হঠাৎ করে পলাশের কাছ থেকে সরে যান এই নেতা। সাংসদ শামীম ওসমানের বলয়ে ভীরে যায় তিনি। দীর্ঘদিন ইউনিয়নের সভাপতি হয়েও কর্মী সৃষ্টি করতে পারেনি বলেও অভিযোগ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। সম্প্রতি ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে ঘিরে কুতুবপুরের নেতারা তৎপর হয়ে উঠেছে। কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে বহাল থাকতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। তবে এবার জসিম উদ্দিনের প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে মাঠে রয়েছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আলাউদ্দিন হাওলাদার। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সব সময়ই সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করেন। দলের দুঃসময়ে তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে হাল ধরে ছিলেন। চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে তিনি শাহীবাজার মোড়ে সাংসদ শামীম ওসমানের মোবাইল সমাবেশ করে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার কাজটিও করেছে ঝুকি নিয়ে। যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে জসিম উদ্দিনের করার কথা ছিল। তবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি, দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত এবং সক্রিয় নেতাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
Leave a Reply