শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবরঃ কুতুবপুরের রাজননীতিতে সু বাতাস বইছে। নেতারা একে অপরের সাথে বিরোধ ভুলে এক টেবিলে কিংবা এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নিজেদের মধ্যকার বিরোধ মিটিয়ে এক সাথে এক মঞ্চে বসে রাজনীতি করার প্রত্যায় ব্যক্ত করেছেন। ফতুল্লার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে একমাত্র কুতুবপুরের রাজনীতিতে বিভাজন বিরোধ বেশী। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মধ্যে একাধিক গ্রæপে বিভক্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধওে রাজনৈতিক কর্মকান্ড করে আসছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের আওয়ামী লীগের একাধিক কর্মী জানায়, কুতুবপুরের কয়েকজন তোর কারণে এখানকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একাধিক গ্রæপে বিভক্ত হয়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ড করে আসছে। আর এ কারণে কুতুবপুর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ভাবে দূর্বল হয়ে পরেছে। আর সুবিধা নিচ্ছে বিরোধী দল। তবে কুতুবপুরের বিরোধ মিটে ফলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঙ্গা ভাবে ফিরতে শুরু করেছে।
সূত্রমতে, দীর্ঘদিন ধওে কুতুবপুর আওয়ামী লীগে বিরোধ চলে আসছে। একাধিক গ্রæপে বিভক্ত হয়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে এই বিরোধকে ঘিওে একাধিক প্রাণহানী এবং সংঘর্ষেও ঘটনাও ঘটেছে। তবে নেতাকর্মীদের মধ্যে এতো বিরোধ হলেও কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন এবং সাধারন সম্পাদক মানিক চাঁন এই বেরাধ মিটানোর ব্যাপারে কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি এমন অভিযোগ স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের। আর এসব কারণে এই দুই নেতার প্রতি মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও ক্ষুদ্ধ।
অন্যদিকে, কুতুবপুর ইউনিয়নে জনবল নিয়ে যে ক’জন সক্রিয় রাজনীতি করে আসছেন তাদেও মধ্যে ইউনিয়ন যুবলেিগর সাধারন সম্পাদক আব্দুল খালেক ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছা সেবক লেিগর সাধারন সম্পাদক মীর হোসেন মীরু অন্যতম। দীর্ঘদিন এই দুই নেতার মধ্যে বিরোধ থাকলেও সম্প্রতি সময়ে তারা বিরোধ ভুলে এক মঞ্চে এসে অবস্থান নিয়েছেন। এই দুই নেতার বিরোধ নিস্পত্তি হওয়ায় অনেকে স্বাগত জানালেও আওয়ামী লীগের কিছু নেতা বিষয়টিকে সহজে মেনে নিতে পারেনি। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করে এক মঞ্চে এসে রাজনীতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এবং যারা বিরোধ সৃষ্টি করবেন ওই সমস্ত নেতাদের বজর্ণ করবে বলেও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।
Leave a Reply