বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪২ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবর: বেশ কয়েকজনের করোনা সংক্রমণ এবং একটি এলাকা লকডাউনের পর পুরো নারায়ণগঞ্জে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। সোমবার সকাল থেকেই নগরীর সব এলাকাসহ সদর উপজেলার ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর থানা এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নেমেছে র্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোকে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশির পাশাপাশি রাস্তায় চলাচলকারী সব শ্রেণির মানুষকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। যানবাহন চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করতে প্রায় সব পাড়া মহল্লায় সড়কগুলোতে ব্যারিকেড সৃষ্ট করেছেন স্থানীয়রা। যে কারণে মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জ নগরী। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও তাদের টহল অব্যাহত রেখেছেন। এদিদে ফতুল্লা বিসিক শিল্পনগরী ও সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে বেশ কয়েকটি করাখানা খোলা রাখা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আইইডিসিআর নারায়ণগঞ্জকে করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত কারায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে যা করা দরকার, তাই করা হবে। প্রয়োজনে আরো কঠোর অবস্থানে যাবে প্রশাসন এবং নিয়ম শৃংঙ্খলা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানুষকে ঘরে রাখতে যা যা করা দরকার, নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন তাই করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, করোনা পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ রেড জোনে রয়েছে। যে কারণে আইন শৃখলা বাহিনী জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে মাঠে কাজ করছে, যাতে বিনা কারণে কেউ ঘর থেকে বের হতে না পারে।
র্যাব-১১এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলাউদ্দিন জানান, সকাল থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ, শিমরাইল, পাঠানটুলি, গোদনাইল, চাষাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় টহল দিয়েছে আমাদের সদস্যরা, যাতে করে কেউ বিনা কারণে ঘর থেকে বের হতে না পারে। অনেকে বিনা কারণে বের হয়ে আমাদের জেরার মুখে পড়েছে। বৈঠকে উপস্থিত থাকা জেলা তথ্য অফিসার সিরাজউদ্দৌলা খান জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নগরীর চাষাড়া, ২নং রেলগেট, কালীরবাজার, খানপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং শুরু করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হলে পিটুনি, জেলা-জরিমানার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Leave a Reply