শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন

জেলা ছাত্রদল সভাপতি রনিকে সাগর সিদ্দিকীর চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জেলা ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনিকে চ্যালেঞ্জ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের পাল্টা কমিটির প্রধান সমম্বয়ক সাগর সিদ্দিকীর স্যাস্টাস নিয়ে বিএনপির রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তোলপাড়।রনিকে ডাকাত,মাদক ব্যবসায়ী- সেবী,অর্থলোভী আখ্যায়িত করে সাগর সিদ্দিকী তার নিজ ফেইসবুক আইডিতে জেলা ছাত্রদল সভাপতি রনিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তার দেওয়া বক্তব্যের তথ্য প্রমান সহ সাংবাদিকদের সামনে হাজির হওয়ার আহবান জানান।

সাগর সিদ্দিকী তার ফেইসবুক আইডিতে লিখেন….
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক দুইজন সফল সংগঠক নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শ্রদ্ধেয় মোশারফ হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের নির্বাচিত সাবেক ভিপি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের তৃনমূল নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে সদ্য ঘোষিত ফতুল্লা থানা তৃনমূল ছাত্রদলের আহব্বায়ক কমিটির ব্যাপারে ওনাদের গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন।
ছাত্রদলের সাংগঠনিক নীতিমালা অনুযায়ী কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। প্রিয় দুই অবিভাবককে অসংখ্য ধন্যবাদ দলের তৃনমূলের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষন ও দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য। পক্ষান্তরে কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ  কে নিয়ে ২০০৭ সালের ডাকাতি মামলার আসামী রনি সাংবাদিকদের নিকট যে মন্তব্য করেছেন তা সম্পূর্ন কাল্পনিক,ভিত্তিহীন,বানোয়াট। নিজেকে জাহির করার জন্য এবং বিএনপির রাজনীতিতে প্রতিবন্ধী বলে খ্যাত আড়াই হাজারের সুমনকে খুশী করার জন্যই নজরুল ইসলাম আজাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কুৎসা বলে বেড়াচ্ছে এক সময়কার ডাকাত জেলা ছাত্রদল সভাপতি রনি।অপরদিকে আমি সাগর সিদ্দিকী দেখেছি জেলা ছাত্রদল সভাপতি রনি জেলা ছাত্রদল কমিটি হওয়ার পূর্বে কমিটিতে স্থান পেতে ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে নজরুল ইসলাম আজাদের পায়ে ধরে বসেছিলো রনি।এবং পার্শ্ববর্তী একটি মসজিদে ভিতরে প্রবেশ করে পবিত্র কোরআান শরিফ স্পর্শ করে আর কখনো ভুল করবেনা এবং তার কথার অবাধ্য হবেনা বলে অঙ্গিকার করে।জেলা কমিটি হওয়ার পর রনি আড়াইহাজারের চিন্থিত ডাকাত পরিবারের সদস্য প্রতিবন্ধী সুমনের রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে সে নজরুল ইসলাম আজাদের বিরুদ্বে নানা বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছে।রাজনৈতিক ভাবে কুলিয়ে উঠতে না পেরে সুৃমন রনিকে এজেন্ডা হিসেবে ব্যবহার করছে।
জেলা ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টার মতই নিজের অপকর্ম ঢাকতে প্রকৃত সত্যকে পাশ কাটিয়ে মিথ্যার আশ্র‍য় নিয়ে ব্যাক্তিগত আক্রোশ থেকে গনমাধ্যমে বিভিন্ন নোংরা ও শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে।  তার প্রতি  আহবান রইলো কথাবার্তা বলার ক্ষেত্রে আরো মার্জিত,শিষ্টাচারীও সতর্কতালম্বন হওয়ার চেষ্টা করুন।তার মনে রাখা উচিত  রাজনীতি তাদের পিতা- পুত্রের সম্পত্তি না।
রনি সবাইকে আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বলে।অথচ সে নিজেই আওয়ামী পরিবারের সন্তান।এনায়েত নগর m আওয়ামীলীগ শির্ষ নেতা ও চেয়ারম্যান প্রার্থী  মতি প্রধান সহ জেলা ও মহানগরের শির্ষর্স্থনীয় দুই ছাত্রলীগ নেতার নিকটাত্নীয় রনিকে আওয়ামী পরিবারের সন্তান বলেই জানেন সবাই।
তার সাথে কারো রাজনৈতিক মতপার্থক্য হলেই তিনি যে কারো সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ আপত্তিকর বানোয়াট মন্তব্য করার অভ্যাসটা একদিকে যেমন তার ব্যাক্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে একই সাথে তার কারনে সংগঠনের ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়।
এভাবে যাকে তাকে আওয়ামী এজেন্ট, মাদক সম্পৃক্ত কিংবা ছিনতাইকারী বলার আগে আপনার বক্তব্যের পক্ষে প্রমান সংগ্রহ করে প্রমান সহ উপস্থাপন করুন।শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত আক্রমনের উদ্দেশ্যে কারো সম্পর্কে প্রমান ছাড়া এভাবে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভূত।
জেলা ছাত্রদল সভাপতি রনির বিরুদ্ধে কমিটি বানিজ্যের বহু তথ্য প্রমান রয়েছে।তাছাড়া ২০০৭ সালে র‍্যাব সদস্যরা রনিকে ডাকাতির মালামাল সহ গ্রেফতার করে ফতুল্লা থানায় সোপর্দ করে। সেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন ফতুল্লা থানার তৎকালীন সেকেন্ড অফিসার ও বর্তমান শর্শা থানার ইনচার্জ বদরুল আলম।।জেলার বিভিন্ন থানায় তার নামে তিন তিনটি মাদক মামলা রয়েছে।এগুলো কিসের আলামত।সে নিজেও মাদক সেবনকারী।সম্প্রতি এক মাদকের ডিলারের সাথে তার আলাপাচারিতার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে ফিরছে।
কমিটি বানিজ্যের  হোতা রনি দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের থেকে কমিটি দেয়ার কথা বলে  টাকা আত্নসাৎ করেছে।তার বাবা ও বড় ভাইয়ের মাধ্যমেও জেলার বিভিন্ন সিনিয়র নেত্রীবৃন্দের কাছ থেকে রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মসূচীতে রনি টাকা আদায় করেন।কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দকে বিভিন্নসময়ে রনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করছে।রনির প্রয়াত বোন জামাই মোখলেসুর রহমান ছিলেন একজন সক্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা।তিনি ফতুল্লা থানা সৈনিক লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি বিসিক শিল্প নগরীর তালিকাভুক্ত ঝুট সন্ত্রাসী  ছিলেন।
বিসিক ঝুট সেক্টরের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে  তিনি প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন। কিন্তু রনি কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেন যে তাকে খুজতে গিয়ে পুলিশ তার বোন জামাই কে গুম ও খুন করে যেটা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
পরবর্তীতে বিএনপির ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি দেশনায়ক তারেক রহমানের পাঠানো উপহারসামগ্রী রনি তার বোন জামাইয়ের পরিবারকে দিয়ে ছবি তুলে তার সেই মিথ্যা সংবাদকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেন।
শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত আক্রমনের উদ্দেশ্যে কারো সম্পর্কে প্রমান ছাড়া এভাবে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।যদি সৎ সাহস থাকে তাহলে সংবাদ সম্মেলন করে আমার সাগর সিদ্দিকীর মুখোমুখি হোন।তখোন প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দিবো।এবং আপনার কমিটির বাবুর্চি,হোটেল বয়,অছাত্র,মাদক ব্যবসায়ী-সেবী, বিবাহীতদের তথ্য প্রমান সহ সাংবাদিক ভাইদের নিকট উপস্থাপন করবো।সাহস থাকলে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন।আর না হয় বাপ-বেটার চাপাবাজি বন্ধ করুন।
নিউজটি শেয়ার করুন...

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

    © All rights reserved © 2023
    Design & Developed BY M Host BD