নিজস্ব প্রতিবেদক: তিন চেয়ারম্যানেই আওয়ামী লীগে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু,প্রধানমনস্ত্রী ও নৌকা প্রতীক নিয়ে বিতর্কীত বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের দুইজন এবং জাতীয় পার্টি সমর্থিত এক চেয়ারম্যান। আর এ নিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এসব চেয়ারম্যানদের দল থেকে বহিস্কার এবং গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। ডিসি,এসপির কাছে স্মরকলপিও দিয়েছেন তারা। তবে স্মারকলিপি দিতে গিয়েও বিতর্কে জড়িয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তারাহুড়ো করতে গিয়ে বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধুর নাম লিখতেও ভুল করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদককে না জানিয়ে সভাপতি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিসি,এসপি স্মারখলিপি দিয়েছেন।
মূলত ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতি এখন তিন চেয়ারম্যানকে ঘিরে। ইতোমধ্যে দল বারদী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবলকে দল থেকে বহিস্কার করেছে। তবে আলীরটেক ইউনিয়ন পরিয়দের চেয়ারম্যান জাকিরে বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। জাকির হোসেন নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ নেত্রী হিসেবেও উল্লেখ করেছেন। এ নিয়েও আলীরটেকে সমালোচনা হয়েছে।
সূত্রমতে, সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রতিক নিয়ে বিজয়ী লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল বারদীর একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ওয়াজ মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে বেফাঁস বক্তব্য দিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনাকে আসতে হলে তার হুকুম লাগবে। এছাড়াও বন্দর কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন এক অনুষ্ঠানে বলেছেন আমি শেখ মুজিবুর রহমানকে চিনি না শেখ হাসিনাকে চিনি না। তার এ অশালীন বক্তব্যের কারনে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হয়েছে। এ বক্তব্যের ফলশ্রæতিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ মনে করেন দেলোয়ার হোসেন স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে। আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা মনে করেন সংবিধান লঙ্ঘনের অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা তাকে দ্রæত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনবে। এছাড়াও আলীরটেক ইউনিয়নের নৌকার প্রতিক নিয়ে বিজয়ী চেয়ারম্যান জাকির হোসেন এক অনুষ্ঠানে বলেছেন আমি নৌকার প্রতিক না নিলে তার চেয়েও বেশি ভোটে নির্বাচিত হতাম। এ তিন চেয়ারম্যানের বক্তব্যের কারনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাই নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দাবি তাদের এ বেফাঁস বক্তব্যের জন্য এই তিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।
Leave a Reply