নারায়ণগঞ্জের খবর: ফতুল্লা থানাধীন পাগলায় ভিপি রাজিবকে কুপিয়ে হত্যার ১৮দিন অতিবাহিত হলেও এখন গ্রেফতার হয়নি মামলা প্রধান আসামী পাগলার হাবিব শেঠের সন্ত্রাসী ভাগ্নে মিঠুনসহ অন্যান্য আসামীরা। নিহত ভিপি রাজিবের পরিবারের অভিযোগ, আসামীরা প্রায় সময়ই এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে।

করোনা ভাইরাসের কারণে পুলিশ যখন অন্যদিকে ব্যস্ত সময় পার করছে আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হত্যার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীরা এলাকায় এসে অবস্থান নিয়ে থাকেন। ফলে নিহতের স্বজনদের মধ্যে এক অজানা শঙ্কা এবং ক্ষোভ বিরাজ করছে।

নিহত রাজিবের পরিবারের দাবি, ভিপি রাজিব হত্যার ইঙ্গিত আর এক মাস আগে দিয়েছিলো পাগলা রেললাইন বটতলা এলাকার ইমরান কবির অরুফে অটো কবির। গত ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে আরো একটি হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত হয় চাঁদ শিকদার সেলিম বাহিনীর সন্ত্রাসী লিটন। এ ঘটনায় লিটনও ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে যাদের আসামী করা হয় তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলো ভিপি রাজিব। আর ওই সময়ই ফেসবুকে হামলার প্রতিশোধ নেয়া হবে বলে ফেসবুকে লিখেন সন্ত্রাসী অটো কবির।

সূত্র জানায়, রাজিব হত্যাকান্ডের মূল হোতা পাগলা জেলেপাড়া এলাকার হাবিব সেট এর ভাগিনা মিঠুনের নামে দীর্ঘদিন যাবত মাদক, হামলা, ছিনতাই, ও চুরির অভিযোগ রয়েছে। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে গুটা পাগলা এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল মিঠুন। এসব অভিযোগ থাকাসত্যেও তারা কিভাবে প্রকাশ্যে অপরাধ করে বেড়ানোর সাহস পায় প্রশ্ন উঠেছে সেটা নিয়েও। বলা হচ্ছে এলাকার প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ছিল বলেই এই সন্ত্রাসীচক্রের বিরুদ্ধে পুলিশও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এজন্য খুনিচক্রের আশ্রয়-প্রশ্রয়দানকারী মহলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল ফোনের মাধ্যমে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ভিপি রাজিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করে মিঠুন ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা। একই দিন রাতে হামলায় আহত রাজিব ওরফে ভিপি রাজিব(২৪) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনবস্থায় মারা যায়।

এ ঘটনায় রাজিবের বাবা আসু মিয়া তালুকদার বাদী হয়ে পাগলা জেলেপাড়ার মিঠুন(৩৭), রাব্বি(২৪), ইয়াসিন(২০),কাউছার (২৭), মিলন(৪০), আলামিন অরুফে কেবলা আলামিন(২৭), সানজিদ(৩৭), চাঁদ শিকদার সেলিম(৩৫),ফয়সাল (২২), সোলেমান অরুফে কুট্টি(৩৭), আ: জলিল(৫০), মানিক অরুফে কুত্তা মানিক(৪০)সহ অজ্ঞাত আরো ১৫/২০জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা(মামলা নং ৬) দায়ের করেন।