নিজস্ব প্রতিবেদক
ফতুল্লার পাগলায় খাবার হোটেলগুলোতে মাংস সরবরাহ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে বিভ্রান্তির সৃস্টি হয়েছে। শনিবার রাতে খাবার হোটেল গুলোতে মাংস সরবরাহ করতে গেলে স্থানীয় জনতা ও পাগলা বাজার সমিতির নেতৃবৃন্দরা কুকুরের মাংস সরবরাহের অভিযোগ এনে ৫০ কেজি মাংস সহ আরিফ(২৮) ও রাব্বি (১৬) নামক দুই মাংস সরবরাহকারীকে আটক করে থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।পরে পুলিশ আটককৃতদের থানায় নিয়ে এসে যাচাই- বাচাই শেষে কুকুর নয় মহিষের মাংস সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে মুচলেকা নিয়ে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত একটায় ফতুল্লা থানার পাগলা বাজার এলাকায়।
ঘটনার বিবরনীতে জানা যায়, পাগলা বাজারের খাবারের দোকানগুলোতে মাংস সরবরাহ কালে কুকুরের মাংস সরবরাহ করার অভিযোগ এনে দুই মাংস সরবরাহকারীকে আটক করে।এ সময় স্থানীয়বাসীর মাঝে সংবাদটি ছড়িয়ে পরে যে পাগলা বাজার এলাকার খাবার হোটেলগুলোতে গরুর মাংস নয় দীর্ঘদিন ধরে কুকুরের মাংস রান্না করে এবং বিরিয়ানী তৈরী করে তা বিক্রেতাদের খাওয়ানে হচ্ছে।এমন সংবাদ ছড়িয়ে পরলে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।এবং আটককৃতদের মারধর করার জন্য মারমুখি হয়ে উঠে স্থানীয়রা।ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতা কে শান্ত করে মাংস সহ আটককৃতদের তাদের হেফাজতে নিয়ে থানায় নিয়ে যায়।পরে পুলিশ আটককৃত দুই মাংস সরবরাহকারীর দোকান মালিক কে ডেকে এনে যাচাই- বাচাই শেষে মুচলেকা নিয়ে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে পাগলা বাজার সমিতির সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান বাচ্চু মুঠোফোনে জানান,সন্দেহ হলে কুকুরের মাংস মনে করে হোম ডেলিভারি কালে ৫০ কেজি মাংস সহ দুজনকে আটক করে তারা।পরে পুলিশ এসে আটককৃতদের তাদের হেফাজতে নেয়।পরে মুচলেকা নিয়ে আটককৃতদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।নিশ্চিত না হয়ে কেনো মাংস সরবরাহকারীদের আটক করে মারধর করে উদ্ভট পরিস্থিতির জন্ম দিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,” ভাই অফিসে আসেন সরাসরি কথা বলি” বলেই লাইনটি কেটে দেন।
অপরদিকে ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এস,আই আশরাফুল জানান,তিনি ঘটনার সংবাদ পেয়ে সেখানে গিয়ে উত্তেজিতদের শান্ত করেন এবং মাংস সহ আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসেন। মাংস দোকানের মালিক কে ও থানায় ডেকে আনেন। স্থানীয়রা এতোটাই উত্তেজিত ছিলো যে তাদের কে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে বলে তিনি জানান।তিনি আরো বলেন,ভুল তথ্যের ভিত্তিতে এমনটা ঘটেছে।কুকুরের মাংস নয় মাংস ছিলো মহিষের।ভারত থেকে আসা প্যাকেটে জাত করা মহিষের মাংস ছিলো।মাংসের দোকান মালিক এলে সকল প্রকার কাগজ পত্র দেখে এবং যাচাই-বাছাই শেষে মহিষের মাংস নিশ্চিত হয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে তাদের কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তিনি জানান।
Leave a Reply