নিজস্ব প্রতিবেদক
কয়েকদিনের জ্বরে পল্লি ডাক্তারের পরামর্শনুযায়ী ডেঙ্গু সন্দেহে পাগলা গ্রীণ ডেল্টা হাসপাতাল এন্ড ল্যাব নামক প্রাইভেট ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্ত পরীক্ষা করান পাগলা নন্দলালপুর এলাকার মোঃ জামাল (৬০)। গত সোমবার(২৯ জুন)পরীক্ষা করতে দিয়ে আসলে ৩০ জুন মঙ্গলবার রাতে রিপোর্ট নিয়ে এসে ডাক্তারের নিকট রিপোর্ট নিয়ে গিয়ে দেখতে পায় যে রিপোর্টে ভাল- মন্দ কিছুই নেই। এই ক্লিনিকে এটাই যে প্রথম তা কিন্তু নয়।বহু সংখ্যক ভুল রিপোর্টের অভিযোগ রয়েছে এ ক্লিনিকের বিরুদ্বে।বহু তল এ ভবনটি সিজার সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছোট- বড় অপারপশন হলেও নেই লিফটের ব্যবস্থা,আয়া দিয়ে নার্সের কাজ করানো সহ অপরিপক্ক লোক দিয়ে ল্যাব চালাননো সহ নারীদের সাথে অশোভন আচরনের ও অভিযোগ রয়েছ কত্পক্ষের বিরুদ্বে।
ঘটনার বিবরনীতে ভুক্তভোগী জামাল হোসেনের পরিবারের সদস্যরা জানায়,জামাল উদ্দিন গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন।পাগলা নন্দলালপুর এলাকার স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক সুদিরাম শীলের শরনাপন্ন হলে ডেঙ্গু সন্দেহে তাকে রক্ত পরীক্ষা করতে বলেন।পল্লি ডাক্তারের পরামর্শ নুযায়ী পাগলা কামালপুর বাজারে কামাল প্লাজায় অবস্থিত গ্রীণ ডেল্টা হাসপাতাল এন্ড ল্যাব ক্লিনিকে গিয়ে সোমবার রক্ত পরীক্ষা করতে দিয়ে আসে এবং মঙ্গলবার রাতে রিপোর্ট নিয়ে এসে দেখতে পায় যে রিপোর্টের স্থানে কিছুই লেখা নেই।পরবর্তীতে ক্লিনিক কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ভুল স্বীকার করে পুনরায় রিপোর্ট তৈরী করে দেয়।কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবারটি পরবর্তীতে এ ক্লিনিকের রিপোর্টের উপর আস্থা না এনে অনত্র পরীক্ষা করায়।
এ বিষয়ে ক্লিনিকটির পরিচালক আমির হোসেন লিটন জানান,সাদ্দাম হেসেন নামক এক ব্যক্তি তার বাবাকে নিয়ে এসেছিলেন।অসাবধানতা বশতঃ রিপোর্টে এমন কাজটি হয়েছে।যা তিনি ভুল বলে স্বীকার করে নেন।এবং তিনি বলেন এই ভুলের কারনে ল্যাব ট্যাকনোলজির দ্বায়িত্বে থাকা ওহিদ নামক ব্যাক্তিকে ইতিমধ্যেই চাকুরীচুত্য করা হয়েছে।অপর এক প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে প্রতিবেদক কে বলেন ভাই আসেন চা খাই এবং কথা বলে বিষয়টি শেষ করে ফেলি।
অপরদিকে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ।করোনাকালে চিকিৎসা সেবায় ক্লিনিকের চিকিৎসা সেবায় জড়িত অনেকেই মানছেনা কোনো নিয়ম।মাস্ক,গ্লাবস ব্যবহার করছেনা অনেকেই।নার্সের কাজ করছে অশিক্ষিত, অপরিপক্ক আয়া বা কাজের বুয়ারা।কোনে কোনো ক্ষেত্রে তাদের কে দিয়ে রোগীর রক্ত নেয়া থেকে শুরু করে ইনজেকশন পুশ পর্যন্ত করা হয়ে থাকে। তাছাড়া ক্লিনিকটির ম্যানেজারের বিরুদ্বে রয়েছে নারীদের সাথে অশোভন আচরন করার অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুনী জানায়,তিনি এক সময় এই ক্লিনিকে চাকুরী করতেন।কিন্তু ক্লিনিকের ম্যানেজার তাকে প্রায় সময় অশ্লীল কথাবার্তা বলতেন এমনকি একদিন তার শরীরে হাত দেওয়ার ও চেস্টা করেন।এসকল বিষয় ক্লিনকটির অনেকেই জানতেন।আর তাই তিনি কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে চাকুরী ছেড়ে চলে এসেছেন। তিনি আরো বলেন চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক নারীর সাথেও ম্যানেজার এ রকম অশোভন আচরন করে থাকেন।সব কিছু জেনে ও রহস্যজনক কারনে ক্লিনিক মালিক ম্যানেজারের বিরুদ্বে নেয়নি কোনো পদক্ষেপ। অপর এক ব্যক্তি জানায় গত কয়েক মাস পূর্বে সপ তার স্ত্রীকে নিয়ে আল্টাস্নোগ্রাফ করান।সেখানপ রিপোর্ট লিখে দেওয়া হয় তাদের ছেলে হব।কিন্তু পরবর্তীতে অন্যত্র আল্টাস্নোগ্রাফ করালে সেখান থেকে রিপোর্ট দেয় যে মেয়ে হবে।পরবর্তীতে সিজারের মাধ্যমে তার মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়।
চিকিৎসা সেনা নিতে আসা ভুক্তভোগীদের দাবী,চিকিৎসা ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মহলের আরো বেশী দায়িত্ব নিয়ে কাক করা উচিত।আর তা না হলে তাদের উদাসীনতার ফলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে প্রাণহানীর মতো মারাত্নক ঘটনা।
Leave a Reply