আবদুর রহিমঃ নাসিক নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা থেকে বিরত থাকা দলের বিশাল একটি অংশ  প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শের অপেক্ষায় ছিলেন। সোমবার বিকেলে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে বসেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। ওই সভা থেকে নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভিকে জয়ী করতে নিদের্শ প্রদান করেন। আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। কিন্তু দল ডাঃ আইভিকে আবারও নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেন। এরপর থেকে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একাংশ নৌকা প্রতীকের পক্ষে মাঠে নামেন।

সূত্রমতে,  নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হতে বেশ কয়েকজন৷ মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। এদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চন্দনশীল ও সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা।

কিন্তু দল সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সদ্য বিদায়ী মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভিকে আবারও দলীয় প্রার্থী হিসেবে  মনোনীত করেন।  আইভি মনোনয়ন দেয়ায় দলের একটি অংশ হাতাশ হয়ে পরেন এবং কিছুটা হলেও মনঃক্ষুণ্ন হয়। ফলে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা আইভির পাশে দাঁড়ালেও মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত অংশের নেতারা নিরবতা পালন করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আইভি হাল ছাড়েনি। নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নিতে গিয়ে একটি বক্তব্যে তিনি দাবি করেন সবাই নৌকার পক্ষে কাজ করবেন, কেউ বাদ যাবে না। সোমবার দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সাথে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের বৈঠকের পর থেকে চিত্র পাল্টাতে শুরু করেছে।  সবাই এখন মেয়র প্রার্থী আইভির পক্ষে কাজ করতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বলে বৈঠকে অংশ নেয়া একাধিক নেতা জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, প্রার্থী যেই হোক, প্রতীক নৌকা, এছাড়া  আইভি দলীয় প্রার্থী, তাঁকে জয়ী করতে দলীয় প্রধান আমাদের নিদের্শনা দিয়েছেন,  দলীয় সিদ্ধান্ত মনতে হলে আইভির পক্ষে কাজ করতেই হবে।

ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভির দলীয় প্রার্থীতা চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ দলের বিরাট একটি অংশ দলীয় প্রার্থী আইভির পাশে এসে অবস্থান করেন এবং আইভিকে সমর্থন জানান। ইতোমধ্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন একাধিক অনুষ্ঠানে আইভির পক্ষে ভোট চান।