নিজস্ব প্রতিবেদক
ফতুল্লায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। এসময় পুলিশ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও তার মেয়ে সহ ৪জনকে গ্রেফতার করে পাল্টা পাল্টি মামলা নিয়েছে। শনিবার দুপুরে মামলা গ্রহন করে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরন করেছে পুলিশ।
জানা করোনা যায়,ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর রেল স্টেশন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক থানা আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসেন ও ফতুল্লা ইউনিয়ন ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক সমর্থীত দুটি গ্রুপের মাঝে শুক্রবার রাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে এলাকার সাধারন লোকজনের বাড়ি ঘর ব্যাপক ভাংচুর করে। বাড়ির গেইট, জানালা, দোকানের শার্টার দা দিয়ে কুপিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এসময় উভয় গ্রুপের তান্ডবে ভয়ে এলাকাবাসী বাসা বাড়ির বাতি নিভিয়ে চিৎকার করতে থাকে। তখন পুলিশ এসে ধাওয়া করে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোবারক হোসেন (৬৫) তার সহযোগী রাতুল (১৫) ও আওয়ামীলীগ নেতা ওমর ফারুক (৬৫) এবং তার মেয়ে মাহমুদু আক্তার সীমাকে (১৯) গ্রেফতার করে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।
এলাকাবাসী জানান, আওয়ামীলীগ নেতা মোবারক হোসেনের পুত্র জেলা ছাত্রলীগের সহ- সাধারন সম্পাদক সামিউন সিনহা ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুকের পুত্র উদয়ের সাথে পূর্ব থেকেই দ্বন্দ্ব ছিলো। সেই দ্বন্ধের জের ধরে শুক্রবার রাতে ওমর ফারুকের পুত্র উদয় ও তার সহোযোগি সন্ত্রাসীরা দেশীয় তৈরী ধারালো অস্ত্র- সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সামিউনের সহোযোগি মুক্তারের উপর হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে। হামলার সংবাদ পেয়ে সামিউন সিনহা ও তার সহোযোগিরা উদয় গ্রুপের সন্ত্রাসীদের ধাওয়া দিলে উভয় গ্রুপের মাঝে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া সহ ব্যাপক সংঘর্ষের সৃস্টি হয়।সংঘর্ষ চলাকালে এলাকাবাসীর মাঝে আতংক ছড়িয়ে পরে।এ সময় বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়,সামিউন সিনহা এলাকায় সুস্থ রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলে ও তার প্রতিপক্ষ ওমর ফারুকের পুত্র উদয় এালাকায় দাঙ্গা- হাঙ্গামা সহ মাদকের সাথে জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়।ইতিপূর্বে রমজান মাসে উদয় সহ বেশ কয়েকজন কে নিজ বাড়ীর সামনে মাদক সেবন করতে নিষেধ করায় সে সময় উভয় গ্রপের মাঝে সংঘর্ষের সৃস্টি হয়েছিলো।স্থানীয়দের দাবী,সেই ঘটনার জের ধরেই শুক্রবার রাতে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, প্রভাব বিস্তার কে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই মোবারক হোসেন ও ওমর ফারুক এবং তাদের সমর্থীত লোকজনদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। প্রায় সময় তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের একাধীকবার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তারা প্রশাসনের সতর্ক না মেনে শুক্রবার রাতে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে এলাকাবাসীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এবিষয়ে উভয় পক্ষের চার জনকে গ্রেফতার করে পাল্টা পাল্টি মামলা গ্রহন করেছি। মোবারক হোসেনের পক্ষে মামলা করেছে মাসুদ খন্দকার নামে তার এক আত্মীয়। এ মামলায় ওমর ফারুকসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত ১০ জনকে আসামী করা হয়েছে। অপরদিকে ওমর ফারুক নিজেই বাদী হয়ে মোবারক হোসেনসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে ৩০জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। অপর একটি সুত্র জানায়,গ্রেফতারকৃত সকলেই শনিবার সন্ধ্যায় আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছে।
Leave a Reply