বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন

ফতুল্লায় এসিড মামলার বাদী-স্বাক্ষির বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফতুল্লার  চাঞ্চল্যকর এসিড মামলার বাদী ও স্বাক্ষীকে মিথ্যে চাঁদাবাজী মামলায় ফাসালো মামলার প্রধান আসামী বরিশাইল্লা টিপু ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর  জহির এমনটাই অভিযোগ এসিড দগ্ধ ছাত্রলীগ নেতা মুন্না ও তার পরিবারের সদস্যদের।

ঘটনার বিবরনীতে জানা যায়,গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে ফতুল্লার রেললাইন বটতলা  এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ মাহামুদ মুন্নাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বরিশ্যাইলা টিপু,সাইফুল  সহ সহোযোগি সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও এসিড দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু মুন্না বেঁচে গেলেও তার ডান চোখ নষ্ট হয়ে যায় ।

ঘটনার পরদিন মুন্নার ছোট ভাই শাওন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় বরিশ্যাইলা টিপু, সাইফুল, ডাকাত রেহান, ফেন্সি রাজিব, সাগর, কাইয়ুমসহ অজ্ঞাত ৭/৮জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।ঘটনার রাতেই পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামী সাইফুল কে থানা গেইট হতে গ্রেফতার করে।মামলাটি প্রথমে ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর আইসিটি আজগর হোসেন তদন্ত করেন।পরবর্তীতে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়।পিবিআই ইন্সপেক্টর জহির মামলাটির তদন্তের দ্বায়িত্ব গ্রহন করে।শুরু থেকেই মামলার তদন্তকারী  কর্মকর্তার নানা বিতর্কিত  কর্মকান্ডের কারনে তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতি আস্থা গ্রহণ করতে পারছিলনা বাদী পক্ষ।আর তাই বাদী পক্ষ তদন্তকারীর পরিবর্তন চেয়ে এবং পক্ষপাত্বিত্বের অভিযোগ এনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জহিরের বিরুদ্বে জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার পিবিআই,পুলিশ ইন্টারগ্যাশন সেল,পুলিশ,আই,জিপি সদর দপ্তর সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।পক্ষান্তরে মামলা তুলে নিতে শুরু থেকেই মামলার বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের নানা ভাবে হুমকী দিয়ে আসছিলো এসিড মামলার প্রধান আসামী বরিশাইল্লা টিপু ও তার সহোযোগিরা।আর তাই এসিড মামলার বাদী শাওন ও তার বাবা মিরাজ বাদী হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে  ফতুল্লা থানায় পৃথক পৃথক দুইটি সাধারন ডাইরী করেন।এসিড  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা  জহিরের বিরুদ্বে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে শুধুমাত্র বাদীপক্ষ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে তা কিন্তু নয়। এসিড মামলার গ্রেফতারকৃত আসামী সাইফুলের স্ত্রীও তদন্তকারী কর্মকর্তার  পরিবর্তন চেয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে জানা যায়।জানা যায়,গত দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে পিবিআই কর্মকর্তা জহির নারায়নগঞ্জ জেলাতেই অবস্থান করে।

অপর দিকে মামলা থেকে অব্যহত পেতে এবং ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে মামলার প্রধান আসামী বরিশাইল্লা টিপু তার আপন শ্যালক ফয়সাল কে দিয়ে এসিড মামলার বাদী  শাওন,স্বাক্ষী মোক্তার হোসেন বাদীর মামা জুয়েলকে আসামী করে চাঁদাবাজী ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে নারায়নগঞ্জ আদালতে একটি মোকাদ্দমা পিটিশন দায়ের করেন।আদালত তা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।এ মামলাটিও পিবিআই ইন্সপেক্টর জহির কৌশলে তদন্ত করার দ্বায়িত্ব নেয়।এ মামলাটি পরবর্তীতে বিবাদীদের আত্নপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তাদের কে কোন প্রকার অবগত না করে এসিড মামলার বাদী শাওন,সাক্ষী মোক্তার,জুয়েল কে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।আদালত তদন্ত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে তাদের বিরুদ্বে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে।অপরদিকে এসিড মামলার প্রতিবেদনে গ্রেফতারকৃত সাইফুল ব্যতিত মামলার প্রধান আসামী সহ সকল  আসামীদেরকে অব্যহতি দিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে।কিন্তু বাদীর নারাজির আপত্ত্বিতে আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) কে নির্দেশ প্রদান করেন।এসিড দগ্ধ ছাত্রলীগ নেতা মুন্নার দাবী,এসিড মামলা তুলে না নেয়ায় মামলার প্রধান আসামী বরিশাইল্লা টিপু টকার বিনিময়ে পিবিআই কর্মকর্তা জহির কে দিয়ে তার ছোট  ভাই এসিড মামলার বাদী শাওন,মামলার স্বাক্ষী মোক্তার এবং তার মামা জুয়েল কে চাঁদাবাজী মামলায় ফাসিয়েছে।টাকার বিনিময়ে এসিড মামলা থেকে পিবিআই কর্মকর্তা জহির  যেমন করে তদন্ত প্রতিবেদনে পক্ষপাতিত্ব করেছে ঠিক তেমনি বরিশাইল্লা টিপুর শ্যালক ফয়সালের দায়ের করা পিটিশন মোকাদ্দমায় মিথ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে আাদালতে।

নিউজটি শেয়ার করুন...

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

    © All rights reserved © 2023
    Design & Developed BY M Host BD