রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবরঃ ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদী তীরের বিআইডব্লিউটিএ’র ওয়াকওয়ে ভেঙ্গে ও দখল করে ইট-বালু,কয়লাসহ বিভিন্ন মালামাল রেখে ব্যবসা করছে অনেক ব্যবসায়ী। সাধারন মানুষের হাটা-চলাচলের জন্য তৈরী করা ওয়াকওয়েগুলোর এখন কোন অস্থিত্ব নেই। যে যেভাবে পারছে দখল করে নিজের ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়ী কাজে ব্যবহার করছে এমন অভিযোগ স্থানীয় মহলের। এসব দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে সচেতন মহল।
সরেজমিনে উক্তস্থানগুলো ঘুরে দেখা যায়, ফতুল্লার গরুর হাটের পাশে- মোসার্স বাবুল কনষ্ট্রাকশন ও দাপা বাবুর ঘাটে হোসেন মিয়ার বালুর ঘাট ও রূপ চাঁন বেপারী এবং লতিফ বেপারী, দাপা মসজিদ- লতিফ মহাজনের ঘাট, মোল্লা সল্ট লবনের মালিকপক্ষ নদীরপাড়ে গড়া ওয়াকওয়ে গুলো ভেঙ্গে এবং বুড়িগঙ্গা নদীর ভেতরে প্রবেশ করে প্রায় ৪০-৫০ফুট দখল করে তারা ব্যবসা পরিচালনা করছে। এ সকল জায়গায় বিআইডব্লিউটিএ’র কয়েকবার অভিযান চালালেও তার ২/১ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরে পুনরায় আবার ব্যবসা চালু করেন সুবিধাবাদী নদীখেকো ব্যবসায়ীরা।
গত ৩/৪ মাস পুর্বে রাজউকের একটি দল ফতুল্লা গরুর হাটের উল্টো পাশে বালুঘাটসহ আশপাশে অভিযান চালিয়ে তার জমিগুলো দখলমুক্ত করলেও কয়েকদিন না যেতেই দখলকারীরা আবারও সেস্থান দখল করে নিবিঘ্নে বালুসহ অন্যান্য ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উক্ত ব্যবসায়ী রাজউকের কাছে অনুমতি নিয়েছেন এমন একটি বিশাল আকৃতির সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছেন। তাদেও কাছে জানতে চাইলে এক ব্যবসায়ী জানান,আমরা রাজউকের কাছ থেকে লিজ নিয়েছি কিন্তু তারা লিজের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
অপরদিকে দাপা বালুঘাট এলাকার আশপাশে দাপা বাবুর ঘাট – হোসেন মিয়ার বালুর ঘাট ও রূপ চাঁন বেপারী এবং লতিফ বেপারী দাপা মসজিদ- লতিফ মহাজনের ঘাট দাপা মসজিদ-মোল্লা সল্ট লবন কর্তৃপক্ষও নদীর পাশে গড়া ওয়াকওয়ে ভেঙ্গে এবং নদীর ভেতরে প্রায় ৪০/৫০ ফুট প্রবেশ করে সেখানে ভরাট করে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। দাপা মসজিদ- লতিফ মহাজনের ঘাট এলাকায় ওয়াকওয়ে ভেঙ্গে সেখানে স্থায়ীভাবে ক্রেনের মাধ্যমে জাহাজ থেকে মালামাল লোড-আনলোড করছেন। এবং নদীর ভেতরে প্রায় ৫০ ফুট বেদখল করে ভরাটও করেছেন।দাপা মসজিদ-মোল্লা সল্ট লবন কর্তৃপক্ষও ওয়াকওয়ে ভেঙ্গে এবং নদীর ভেতরে প্রবেশ করে বালু ভরাটের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। মোল্লা সল্টের ম্যানেজারের দাবী তারা বিআইডব্লিউটিএ’র কাছ থেকে লীজ নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছেন কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তিনি। এ বুড়িগঙ্গা নদী ও তীরবর্তী এলাকা বাচাঁতে এবং দখলকারীদের কাছ থেকে সুরক্ষা পেতে আবারও বিআইডব্লিউটিএ’র অভিযান জরুরী বলে জানান স্থানীয়রা।
Leave a Reply