শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন

ফতুল্লায় সাইকেল লিটন-গরু নাসিরের মাদক ব্যবসা জমজমাট

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লার তালিকাভুক্ত সরকার ঘোষিত মাদক ব্যবসায়ী লিটন ওরফে সাইকেল লিটন ও নাসির শেঠ ওরফে গরু নাসিরের নিয়ন্ত্রণে ফতুল্লার দাপাইদ্রাকপুর এলাকার হেরোইন ব্যবসা।
মাদক বিরোধী অভিযানে ফতুল্লা থানা পুলিশের  নির্লিপ্ততার সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে য়ে স্থানীয় সোর্সদের যোগসাজশে সাইকেল লিটন ও গরু নাসির নির্বিঘ্নে নিজ বাড়ীতে বসেই প্রকাশ্যে বিক্র করছে হেরোইন।শির্ষস্থানীয় এই দুই মাদক বিক্রেতা কে গ্রেফতারে জেলা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ফতুল্লার  দাপা ইদ্রাকপুরবাসী।
জানা যায়,ফতুল্লা থানার দাপা ইদ্রাকপুর বেপারী পাড়ার মৃত  সাইফুল ইসলামের পুত্র লিটন ওরফে সাইকেল লিটন জেলার তালিকাভুক্ত সরকার ঘোষিত শির্ষস্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী।দিনের আলোতে তাকে দেখা না গেলেও রাতের অন্ধকারে তাকে দেখা যায় দাপা ইদ্রাকপুর, শিয়াচর,রেলস্টেশন সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার অলিগলির হেরোইন বিক্রেতাদের সাথে মাদক ও অর্থের লেনদেন করতে।নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র মতে,দিনের আলোতে সাইকেল লিটন কে দেখা যায়না সত্যি কিন্তু ফজর নামাজের পর সে ( সাইকেল লিটন) নিজেই ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর,শিয়াচর,রেলস্টেশন সহ আশপাশের স্থানীয় সকল খুচরা হেরোইন বিক্রেতাদের বাসায় গিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসে হেরোইন।সন্ধ্যার পর আবার বিশেষ করে রাত ৮ থেকে সাড়ে ৯ টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে সে নিজেই গিয়ে সকালের দেওয়া হেরোইনের টাকা খুচরা বিক্রেতাদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে আসে।এ কাজে তাকে কোন কোন ক্ষেত্রে সহোযোগি করে তার পুত্র রিফাত।তার ও তার ছেলের বিরুদ্ধে মাদক আইনে ফতুল্লা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
অপরদিকে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর রেলস্টেশন চেয়ারম্যান বাড়ীর মৃত আলাউদ্দিনের পুত্র নাসির শেঠ ওরফে গরু নাসির দীর্ঘদিন ধরে হেরোইন ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলেও সরকার ঘোষিত শির্ষস্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় নেই এই মাদক ব্যবসায়ীর নাম।একাধিকবার সে গ্রেফতার হলেও থানা হাজত হয়ে কারাগারে তাকে যেতে হয়েছে মাত্র একবারই।কয়েক মাস পূর্বে ফতুল্লা থানার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন জটিকা অভিযান চালিয়ে দশ গ্রাম হেরোইন সহ গরু নাসিরকে তার  বাসা থেকে গ্রেফতার করে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠায়।ইতিপূর্বে গরু নাসিরকে বেশ কয়েকবার পুলিশ  মাদক সহ গ্রেফতার করলেও তার (গরু নাসির) বোন কথিত আওয়ামীলীগ নেত্রী হেনা সরকারদলীয় প্রভাব বিস্তার করে নগদ অর্থের বিনময়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ছাড়িয়ে রাখতো।তবে ফতুল্লা থানার ইনচার্জ আসালাম হোসেনের কল্যাণেই তাকে মাত্র একবার জেলা কারাগারে যেতে হয়েছে।এলাকাবাসীর দাবীর মুখে সে সময় আসলাম হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গরু নাসিরকে গ্রেফতার করে জেলা কারাগারে পাঠায়। জেলা কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে গরু নাসির তার বোন হেনাকে নিয়ে নিজ বাসা সহ রেলস্টেশনের পশ্চিমের বালুর মাঠে গড়ে তুলেছে বিশাল মাদকের স্পট।তথ্য মতে,গরু নাসির নিজ বাসায় বসে হেরোইন বিক্রি করছে আর তার বোন হেনা রেলস্টেশন প্লাটফর্মের পশ্চিমের বালুর মাঠে ১৫ থেকে ২০জন কে দিয়ে বিক্রি করাচ্ছে গাঁজা। আর রাস্তায় বসে পাহাড়াদারের ভুমীকায় থাকে গরু নাসিরের ছেলে শান্ত সহ তার সহোযোগিরা। স্থানীয়রা জানায়,প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গরু নাসিরের বাসার গলিতে এবং বালুর মাঠে মাদক লাইন ধরে হেরোইন ও গাঁজা কিনতে দেখা যায় মাদক সেবীদের।
একাধিক তথ্য মতে  তালিকাভুক্ত সরকার ঘোষিত শির্ষস্থানীয়  মাদক ব্যনসায়ী লিটন ওরফে সাইকেল লিটন ও নাসির শেঠ ওরফে গরু নাসির তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন মাদকের বিশাল বাজার।তাদের এই মাদক ব্যবসা নির্মূলে এবং মাদক ব্যবসায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
নিউজটি শেয়ার করুন...

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

    © All rights reserved © 2023
    Design & Developed BY M Host BD