শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ১০:০৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লায় বক্তাবলির চাঁদাবাজ, লঞ্চ ডাকাত, নদী দখলদার ও প্রতারক জসিম ওরফে কালা জসিমের অত্যাচার থেকে বাঁচতে এবং প্রশাসনের সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে ন্যায় বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী ভেকু ও বার্জ ব্যবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বাদ যোহর ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ সংবাদ সম্মেলন। এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকার খিলগাঁও এর ভেকু ও বার্জ ব্যবসায়ী মো. বাদল।
বক্তব্যে তিনি বলেন, আপনাদের সামনে হাজির হয়ে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় চাঁদাবাজ, লঞ্চ ডাকাত, নদী দখলদার ও প্রতারক জসিম ওরফে কালা জসিম এর বিরুদ্ধে তার সংঘঠিত কিছু অপরাধের ফিরিন্তি তুলে ধরছি। সে নিজেকে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ এর চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে একের পর এক নিরীহ মানুষের জুলুম শুরু করে যাচ্ছে।
তার সহযোগী হিসাবে মো. আবু বকর ওরফে বিপ্লব পিতা- মো. ফজর আলী, মোঃ উজ্জ্বল পিতা-অজ্ঞাত, ইবু ওরফে ইব্রাহিম পিতা-অজ্ঞাত সহ তার সঙ্গীরা নদীর পাশে কৃষকের ফসলী জমি থেকে জোর পূর্বক মাটি কেটে বিভিন্ন ইট ভাটায় সরবরাহ করে। সেজন্য ভেকু ও বার্জ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করার পরও ভেকু ও বার্জ দাতা প্রতিষ্ঠানকে কোন প্রকার ভাড়া না দিয়া উল্টো মারধর সহ ভেকু ও বার্জ আত্মসাৎ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আমি জনৈক মো, আলাউদ্দিন শেষ এর নিকট হইতে একটি বার্জ ভাড়া নিয়ে তা বিভিন্ন ছোট ছোট প্রজেক্টে সাব ভাড়া দিয়া ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। উল্লেখিত গত ডিসেম্বর মাসে জসিম আমার আওতাধীন বার্জ খানা মাসিক ৩ লাখ টাকা ভাড়া চুক্তিপত্র সম্পাদন পূর্বক এনআরবিসি ব্যাংক পঞ্চবটি শাখার ইস্যুকৃত ৪ টি চেক প্রদান পূর্বক ভাড়া নেয়।
ভাড়া নেওয়ার সময় কথা ছিলো যে, প্রতি মাসে ভাড়া প্রদানের পর একটি করিয়া চেক দেখা করে নিয়া যাইবে। কিন্তু ভাড়া নেওয়ার পর হইতেই অদ্য পর্যন্ত কোন প্রকার ভাড়া প্রদান না করিয়া উল্টো বিভিন্ন প্রকার টালবাহানা প্রদর্শন করিয়া সময় ক্ষেপন করে আসিতেছে।
এর প্রেক্ষিতে ৩ মাসের ভাড়া বকেয়া পরিয়া গেলে বক্তাবলী ফেরিঘাটের দক্ষিণ পার্শ্বই এলাকায় যাইয়া বিবাদীর নিকট বকেয়া ভাড়া চাহিলে বিবাদী আামাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার ভাড়ার টাকা পরিশোধ করিবে না মর্মে হুমকি প্রদান করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে আমি সহ জনৈক মো. আলাউদ্দিন শেখের ২জন প্রতিনিধি নিয়া পাওনা ভাড়ার টাকা চাইতে গেলে জসিম কোন প্রকার উত্তর প্রদান না করিয়া চুপ থাকে, এক পর্যায়ে কোন কিছু বুঝিয়া উঠার আগেই অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন বিবাদীসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র এবং মোটা কাঠের ডাসা নিয়া আমাদের উপর অতর্কিত হামলা শুরু করে।
এক পর্যায়ে বিবাদী আমার অধীনে থাকা বার্জের একজন ষ্টাফ কে এলো শাখারি মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। শুধু তাতেই ক্ষান্ত না হইয়া বিবাদীগণ আমাকেও এলো পাথারি মারপিট করিতে থাকার এক পর্যায়ে ১নং বিবাদী আমার কাছে থাকা নগদ আড়াই লাখ টাকা ছিনাইয়া নেয়ার কালে বিবাদী আমার সাথে থাকা জনৈক মো. আলাউদ্দিন শেখ সাহেবের ২জন প্রতিনিধির মারফত বাধা প্রাপ্ত হইলে ১নং বিবাদী তাহাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া তাড়িয়ে দেয়।
এসময় বিবাদীগণ আমাকেও ভয়ভীতি প্রদর্শন শুরু করে এবং আমি যদি পুনরায় বিবাদীর নিকট পাওনা ভাড়া টাকা কিংবা বাজটি ফিরাইয়া নেওয়ার চেষ্টা করি তাহলে যেকোন উপায়ে আমাকে জীবনের তরে শেষ করিয়া দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে।
প্রতারক জসিম ওরফে কালা জসিম এর বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানা সহ দেশের বিভিন্ন থানায় ডজন খানেক মামলা চলমান আছে। গত ২৪ মার্চ ফতুল্লা মডেল থানার অভিযোগ দায়ের করিলেও প্রতারক জসিম ওরফে কালা জসিমকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই।
পরবর্তীতে উপায়ান্তর না পেয়ে আমি নিজে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ সুপারের বরাবরে অভিযোগ দায়ের করি।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় কোন মামলা। হয়েছে কিনা? আপনে আসামীদের কি চাচ্ছেন এবং আপনার বার্জটি ফেরত পেয়েছেন কিনা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে মো, বাদল বলেন, আমাদের উপর হামলার ঘটনায় ফতুল্লা থানায় একটি অভিযোগ করেছি।
পুলিশ এখনো এবিষয়ে কোন মামলা করেন নাই। আমি চাচ্ছি এই সকল সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক এবং গত ৪/৫ দিন আগে বার্জটি পুলিশ প্রশাসন ও মিডিয়ার মাধ্যমে ফেরত পেয়েছি।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ভেকু ও বার্জ ব্যবসায়ী মোকতার হোসেন, আকতার হোসেন, জসিম, ফজলু, শহীদুল মেম্বার, মো. বাদল।
Leave a Reply