September 27, 2023, 7:24 am
নারায়ণগঞ্জের খবরঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়াত আলম সানির নাম ভাঙ্গিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দাবীদার আরাফাত হোসেন জুম্মানের নামে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বন্দর উপজেলা সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন,বন্দর ইউনিয়ণ পরিষদের কুশিয়ারা এলাকার আরাফাত হোসেন জুম্মান নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে উপ-গনশিক্ষা সম্পাদক পদে নিযুক্ত হন। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়াত আলম সানির আর্শিবাদে সে উপরোক্ত পদটি পান। পদ পেয়েই তিনি বন্দর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিজেকে জেলার সহ-সভাপতি দাবী করে বিভিন্ন স্থানে চাউর করতে থাকেন। মিথ্যা পদবী ব্যবহার করে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়াত আলম সানির ছবি সম্বলিত ব্যানার করে বন্দরের বিভিন্ন স্থানে শোভাবর্ধণ করে আসছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও জুম্মান জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি লিখে ব্যানার,বিজ্ঞাপন পোষ্ট করে থাকেন। নিজেকে জেলার বড়নেতা জাহির করে অবৈধভাবে বন্দর ইউনিয়নস্থ কুশিয়ারা পুকুর দখল করে মৎস চাষ,বিভিন্ন কর্মসূচীর নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাদাবাজী করে বেরাচ্ছে। দাবরিয়ে বেরাচ্ছে বন্দর উপজেলার ইউনিয়ণগুলো। বিগত সময়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানির সময়ে বন্দরের ছাত্রলীগ তৃনমুলকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ পদপদবী বাগিয়ে দেওয়ার নাম করে অর্থনৈতিক সুবিধা হাতিয়ে নেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন্দর ইউনিয়ণ ছাত্রলীগকর্মী বলেন,এটা তো সেই জুম্মান যে কিনা ২০০৪ইং সালে চাদা না দেয়ার অপরাধে কুশিয়ারা কবরস্থানে তার সন্ত্রাসী বাহিনীসহ নিরিহ মাসুদ নামে এক যুবককে ধরে নিয়ে হাতের কব্জি কেটে দিয়েছিল। এ ঘটনায় বন্দর থানায় তার বিরোদ্ধে মামলাও হয়েছিল পরে সে পালিয়ে বিদেশ চলে যায়। ২০১১সালে দেশে ফিরে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। আসলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়াত আলম সানির ঘনিষ্টজন হওয়ায় সে বার বার অপকর্ম করে বেচে যায়। মানুষ ভয়ে কিছু বলতে সাহস পায়না। কথায় কথায় শামীম ওসমান ও সাফায়াত আলম সানির নাম বলে বেড়ায়। মাধ্যমিকের গন্ডি যে ব্যাক্তি পেরোয়নি তাকে ছাত্রলীগের মত গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখাটা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়। এতে করে রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান শিক্ষিত মেধাবী বিচক্ষণ ছাত্রনেতা সাফায়াত আলম সানি ও নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রানের নেতা একেএম শামীম ওসমানের ভাবমুর্তী ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে তৃনমুল ছাত্রলীগ মনে করে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানির সাথে আলাপকালে তিনি প্রতিবেদককে জানান,আরাফাত হোসেন জুম্মান এর ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আরাফাত হোসেন জুম্মান নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-গনশিক্ষা সম্পাদক অথচ তিনি এখনও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি লিখে শামীম ওসমান ও সাফায়াত আলম সানির ছবি সম্বলিত পোষ্টার,ফেস্টুন করে থাকে এমর প্রশ্নের জবাবে তিনি প্রতিবেদকের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বলেন যার নামে অভিযোগ তার সাথে কথা বললেই ভাল হয়। পরে না হয় আমার অভিমতটা জানবেন।
উল্লেখ্য, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক হিসেবে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে সুপরিচিতি লাভ করেছে।
Leave a Reply