নারায়ণগঞ্জের খবরঃ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নেতৃত্বে নাসিকের বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা,দোয়া ও খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে)সকাল সাড়ে ৯টায় সিদ্ধিরগঞ্জে নয়াআটি এলাকা থেকে শুরু করে নাসিকের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মোট ১২টি স্থানে দিনব্যাপি আলোচনা সভা, দোয়া ও খাবার বিতরণের কর্মসূচিতে যোগদান করেন তিনি।
প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৩নং ওয়ার্ড কিসমত মার্কেট এলাকায় দোয়া ও খাবার বিতরণের মধ্য দিয়ে শুরু মামুন মাহমুদের দিনব্যাপী কর্মসূচী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে। পরে ২নং ওয়র্ডের রহিম মার্কেট, দক্ষিণ পাড়া ও মালেক মেম্বারের পুল এলাকায়, ১নং ওয়ার্ডের গাজী ভবনের সামনে, ৯নং ওয়ার্ড মাদবর বাজার, ৮নং ওয়ার্ড চৌধুরী বাড়ী স্ট্যান্ড, ১০নং ওয়ার্ড বাগপাড়া ও ২নং ঢাকেশ্বরী এলাকায়, ৬নং ওয়ার্ড বার্সামিল, ৭নং ওয়ার্ড নাভানা, ৫নং ওয়ার্ড সাইলো গেইট ও ৪নং ওয়ার্ড কোনাপাড়া রেললাইন এলাকা মামুন মাহমুদ যোগদান করেন।
এসময় বিভিন্ন স্থানে দোয়া কর্মসূচিতে জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, এই হাসিনা বলেছিলো ১০টাকা কেজি চাল খাওয়াবে, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। তার মানে হাসিনা মিথ্যুক, হাসিনা প্রতারক। তিনি বলেও প্রতারণা করেছে, তিনি একটা ঠকবাজ। আমরা বলেছি আপনি ভালোয় ভালো বিদায় নেন। আপনার আর বেশী দিন নাই। আপনাকে যেতেই হবে। আমাদের নেতা ঘোষণা দিয়েছে এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোন নির্বাচনে যাবে না। অতএব সামনের নির্বাচন আপনার অধীনে হবে না। যদি সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে চান তাহলে ভালোয় ভালো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। তারপর আপনারা নির্বচনে অংশ গ্রহন করেন। আপনি তো বলেন অনেত উন্নয়ন করেছেন। আপনি যদি মানুষের উন্নয়ন করে থাকনে তাহলে এতো ভয় কিসের, আপনি তাহলে আগামী নির্বাচনে আবার জনগণের ভোট পাবেন। অন্তত সেই পরীক্ষায় আপনি অবতীর্ণ হন। আপনি আর নকল পরীক্ষা দিয়েন না। গাজীপুরে দেখেছেন না, ঘড়ি মার্কার সাথে পরাজিত হয়েছে। ধানের শীষের সাথে পরাজিত হলেও তো মুখ দেখানো যায়, ঘরি মার্কার সাথে ফেল করেছেন, আপনার উচিৎ কচু গাছের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) তো নির্লজ্জ, আপনি বেহায়া, নয়তো আপনার থাকার কথা না। আপনার পরিনতি কি হবে আপনি ভেবে দেখেন। গাজিপুরের দিকে তাকালেই বুঝবেন আপনার পরিনতি কি হবে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের সেনা বাহীনিতে থেকেও দেশের টানে জিয়াউর রহমানে বিদ্রোহ করেছেন। কালুরঘাট দখল করে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সময় অনেক আওয়ামী লীগ নেতারা ইঁদুরের গর্তে ঢুকে বসে ছিলো। কালের বিবর্তনে বারবার তিনি জাতির কাছে আবিভূত হলেন দেশের প্রাণকর্তা হিসেবে। অনেকে বলে তিনি ক্যান্টনমেন্ট থেকে এসে ক্ষমতা দখল করেছে। জিয়াউর রহমানকে জনতা ও সেনা তাকে নিয়ে এসে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছেন। তিনি যদি নিজে থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসতেন তাহলে স্বাধীনতার পরে চাকরিতে না গিয়ে রাজনীতি করে মন্ত্রী এমপি হতেন।
মামুন মাহমুদ বলেন, মাত্র ৩ বছরের রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকেছেন জিয়াউর রহমান। তবুও আজও মানুষ তাকে ভুলে নাই। কিন্তু শেখ হাসিনা ১৫ বছর যাবৎ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছে, আজ যদি বিদায় নেয় তাহলে কালকে এই দেশের মানুষ তার কথা ভুলে যাবে। কেউ তাকে স্বরণ করবে না। তাকে শুধু ঘৃণায় স্বরণ করবে, তার নাম শুনলে মানুষ ঘৃণায় থুথু দিবে। কারণ সে আমাদের অধিকার হরণ করেছেন, কথা বলার স্বাধীনতা হরণ করেছে। স্ত্রী সন্তানের সাথে শান্তিতে বসবাস করবো সেটাও তিনি হরণ করেছে। আজ এই কথা বলছি, কাল দেখবেন আমাদের অনেকের বাসায় গিয়ে পুলিশ খুঁজবে। এই যে আতঙ্ক শেখ হাসিনা তৈরী করছে। আজ অনেকে আওয়ামী লীগ করে তারা অনেকেই আমাদের ভাই বন্ধু। কিন্তু তাদের সাথে আমাদের দূরত্ব ও শত্রুতা সৃষ্টি করছে এই শেখ হাসিনা।
এ সময় বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মী মানুম মাহমুদের গাড়ী বহরের সাথে দলে দলে যোগ দেয়।
Leave a Reply