রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবরঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের অন্যতম নেতা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, শায়খে চরমোনাই বলেন, যে মৌলিক স্লোগানের উপর দেশ স্বধীনে হয়েছিল সে কথা আমরা ভুলে গেছি। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার।
স্বাধীনতার পর থেকে মানুষের সাম্যতা দেখে নাই, মানুষের অধিকার ফিরে পায় নাই, সাম্যতা হলো সবাই সমান, চাকরির অধিকার সমান, কথা বলার অধিকার সমান, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা সমান। কিন্তু আশ্রাফুল মাখলুকাত মানুষ সেই সাম্যতা পায় নাই। ধনীরা ধনী, আর গরিবেরা গরিব হিসেবেই থাকতে হয়েছে। যে দল করে সে মর্যাদা পাবে, যে নিজের দল করবে না, অন্যায় ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কথা বলবে তাকে আয়না ঘরে ধুকে ধুকে মরতে হবে। কোথায় তাহলে মানবিক মর্যাদা? উপর মহল থেকে যে নির্দেশ আসতো সেভাবেই বিচার কার্য পরিচালনা করা হতো। ন্যায় বিচার এ জাতি দেখে নাই।
আজ ১৬ আগস্ট শুক্রবার বাদ জুমআ ডিআইটি চত্বরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত ৯ দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের যৌথ উদ্যোগে ডিআইটি চত্বরে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম সাহেবের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহতারাম মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাও. লোকমান হোসাইন জাফরী, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল কারীম আবরার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মুফতি ইসমাইল হোসেন সিরাজী, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি, মাওলানা নেছার উদ্দিন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাসির আহমদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মোস্তফা কামাল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সহ-সভাপতি যথাক্রমে হাফেজ আমিন উদ্দিন ও মুহা. নুর হোসেন, জেলা ও নগর সেক্রেটারি যথাক্রমে জাহাঙ্গীর কবির ও সুলতান মাহমুদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি যথাক্রমে হাজী আমান উল্লাহ ও ডা. সাইফুল ইসলাম, জেলা ও নগর সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে ফারুক আহমেদ মুন্সী ও মাও. শামসুল আলম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সভাপতি যথাক্রমে মুহা. ওমর ফারুক ও মাওলানা হাবিবুল্লাহ হাবিব, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে মাও. আব্দুর রশিদ ও মাও. মুহা. আনোয়ার হোসেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি যথাক্রমে মুহা. আশ্ররাফ ও ওমর ফারুক, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সভাপতি মাওলানা রেজাউল করিম ও গাজী আলতাফ হোসেন, ওলামা মাশায়েক আইম্মা পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক মুফতি আল আমিন ও নগর সভাপতি মাওলানা শাহজালাল। শহর শাখার সভাপতি আ. সোবহান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি মুহা. বিল্লাল হোসেন ও বন্দর থানার সভাপতি আবুল হাসেম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মুফতি ফয়জুল করীম আরো বলেন, আগামী নির্বাচন PR (সংখ্যানুপাতিক হারে) পদ্ধতিতে দিতে হবে। সেখানে দলীয় কোন ব্যক্তিকে ভোট দিবে না। নির্বাচন হবে শুধু প্রতীকে। জনগণ তার পছন্দের দলীয় প্রতীকে ভোট দিবে। যে দল যত পারসেন্ট ভোট পাবে সে দল নির্ধারণ করবে তাদের মধ্য থেকে কারা কারা সংসদে যাবে। এরকম হলে দুর্নীতিবাজ বা কোন খারাপ লোক যদি সংসদে যায় তাহলে পরবর্তীতে জনগণ সেই প্রতীকে আর ভোট দিবে না। সুতরাং দলীয় কোন প্রভাব থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, যারা রেমিটেন্স যোদ্ধা তাদেরকে যথাযথ সম্মান দিতে হবে। এয়ারপোর্টে তাদের সাথে সুন্দর ব্যাবহার ও সম্মানজনক শব্দ ব্যবহার করতে হবে। স্যার বলে সেম্বোধন করতে হবে। তারা দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য যুদ্ধ করছে। তাদের সকল মর্যাদা দিতে হবে। ছাত্রদেরকে রাষ্ট্রীয় খরচে পড়াশুনা করার অধিকার দিতে হবে। স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, বিভিন্ন হত্যাকান্ডে যারা জড়িত, অন্যায়ভাবে যারা মানুষকে কারাবন্দী করে আয়না ঘরে নির্যাতন করেছে তাদের বিচার করতে হবে। আগামীতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
Leave a Reply