নিজস্ব প্রতিবেদক:
শহরের দেওভোগ আখড়া মোড় এলাকায় আমজাদের বাড়ির ভাড়াটিয়ার সাথে ধর্ষণের ঘটনায় ৫০ হাজার টাকায় রফা দফা করা হয়েছে। নগরীর জানেম আলম মার্কেটের ব্যবসায়ী হৃদয় ফ্যশনের মালিক আলাউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে। তবে আলাউদ্দিনের দাবী এমন ধরনের কোন ঘটনা ঘটে নাই। শনিবার সকালে দেওভোগ আখড়ার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আলাউদ্দিন দেওভোগের আমজাদ মিয়ার পাশের বাড়ির শরীফ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
স্থানীয়বাসিন্দা জানান,দুজনের বাড়ি এক সাথে হওয়ায় তাদের মাঝে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। গতকাল রাতে তারা এক সাথে থাকে। এঘটনায় মেয়ের বাসায় ছেলেকে আটক রেখে মেয়ে বিয়ে করতে চায়। তখন তাদের বাড়িওয়ালা সহ আরো কয়েকজন মিলে ছেলেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মেয়ের পরিবার তা মেনে নেন বলে জানান এলাকা বাসি।
শরীফ মিয়য়ার বড় ভাই রফিকুল ইসলাম রুমু বলেন, আমি ছেলে এবং মেয়েকে জিজ্ঞেস করছি তোমরা কি বিয়ে করছে। তারা বলছে তাদের মাঝে বিয়ে হয় নাই। আর যদি বিয়ে হইত তালে কাবিন নামা দিয়ে ছাড়া ছারি করে দিতাম। মেয়ে এবং ছেলেকে বলছি তোমাদের নামে একটা র্দুনাম হইছে আমি জরিমানা করে দিবো। আমরা দুই বাড়ির লোকেরা মিলে ছেলেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে দিছি। যা এক সপ্তাহ পরে দিবো। এই বিচারের রায় দিছে আরমান। আমরা সাথে ছিলাম।
আলাউদ্দিন বলেন, এ বিষয়টা বাড়িওয়ালারা বসে মিট মাট করে দিছে। মেয়ের সাথে আমার এমনি ফোনে কথা হত। ধর্ষণের কথা তিনি অসীকার করেন। র্ধষণ না হলে জরিমানা করা হয়েছে কেন এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি এরিয়ে চলে যান। তখন রফিকুল ইসলাম ঘর থেকে বের হয়ে বলেন, আমরা বিচার করে জরিমানা করে দিছি। আমাদের বিচার তারা মেনে নিছে। এটা আমাদের বাড়ির বিষয়। আমরা যদি বিচার না করতে পারি এটা পঞ্চায়েত দেখবো, তারা না পারলে আদলতে যাবে।
এদিকে সচেতন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে, এই ভাবে যদি ধর্ষণ কারীর বিচার হয়ে যায় তাহলে তারা আরো অপরাধ করতে সাহস পাবে। এমন ঘটনায় সমাজে আরো ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন। অনেক টাকা ওয়ালা প্রভাশালীরা ধর্ষণ করে টাকা দিয়ে মিটমাট করার প্রবনাত তৈরী হবে।
Leave a Reply