ক্ষমতাসীন দলে বিরোধ বেড়েই চলেছে। দলের নেতৃত্ব এবং আধিপত্যের প্রভাব নিয়ে এই বিরোধ দীর্ঘদিনের। সাংসদ, মেয়র কিংবা জেলা, মহানগরের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে তৃনমূলের নেতারা কেউ বিরোধ থেকে দূরে নেই। জেলার সর্বোচ্চ নেতা থেকে ওয়ার্ড নেতারাও বিরোধে জড়িয়ে পরেছে। নারায়ণগঞ্জ শহরের রাজনীতিতে উত্তর দক্ষিণের রাজনৈতিক বিরোধ বংশ পরম্পরায় চলে আসলেও নতুন করে এই বিরোধ জেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পরেছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই বিরোধ মিটাতে কেউ উদ্যোগ নেয়নি। ফলে দিন সামনে যতো অগ্রসর হচ্ছে, বিরোধের মাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন দাবি দলের তৃনমূলের নেতাকর্মীদের।
সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের বিরোধের শাখা প্রশাখা ছড়াচ্ছে। দিনে দিনে এই বিরোধ পুরো জেলায় ছড়িয়ে পরেছে। মূল দলের পাশাপাশি অঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্ব নিয়েও বিরোধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবীণ নেতারা নবীনদের সুযোগ দিচ্ছে না এ নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে নবীনদের মধ্যে। জেলা এবং মহানগর আওয়ামীলীগে প্রবীণদের পাশাপাশি নবীন নেতারাও নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু প্রবীণ নেতারা একাই একাধিক পদ আঁকড়ে থাকায় নবীণ নেতারা নেতৃত্বের দৌঁড়ে পিছিয়ে রয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু,শাফায়াত আলম সানি, হাবিবুর রহমান রিয়াদের মতো দলের অনেক যোগ্য নেতা পদহীন থেকেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতিকে সক্রিয় রাখতে অবদান রেখে যাচ্ছেন। এসব নেতারা প্রবীণদের কারণে সংগঠনের নেতৃত্বে আসতে পারছ না। সূত্র জানায়, দলের যোগ্য নেতারা পদায়নের ক্ষেত্রে দলীয় বিরোধ প্রধান অন্তরায়।
দলের একাধিক সূত্র জানায়, মন্ত্রী, এমপি,মেয়র সবাই বিরোধ নিয়ে ব্যস্ত। যে যার বলয় শক্তিশালী করতে গিয়ে এই বিরোধে জড়িয়ে পরেছে। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি বলয় শক্তিশালী করতে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। মন্ত্রী,সাংসদরা থানা, উপজেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ পদ দখল করে বসে আছেন। ফলে নতুন করে কেউ নেতৃত্বে আসুক এখানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। তৃনমূলের দাবি, আওয়ামীলীগের এই বিরোধ মিটানোর উদ্যোগ নেয়া না হলে দলের অনেক যোগ্য এবং দক্ষ নেতৃত্ব হারিয়ে যাবে।
Leave a Reply