শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন

এসিড মামলার তদন্তকর্মকর্তা পরিবর্তনের আবেদন

স্টাফ রিপোর্টারঃ এসিড দ্বগ্ধ আহত ছাত্রলীগ নেতা মুন্নার পিতার পর এবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্বে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে তদন্তকারী কর্মকর্তার পরিবর্তনের দাবী জানিয়ে পুলিশের আইজি,পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয় সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এসিড মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী সাইফুলের স্ত্রী রুনা আক্তার। এর আগে এই একই কর্মকর্তার বিরুদ্বে পক্ষপাত্বিত্বের অভিযোগ এনে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পরিবর্তন চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন এসিড দ্বগ্ধ মুন্নার পিতা মিরাজ হোসেন।

জেলা কারাগারে আটক সাইফুলের স্ত্রীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গত ৩০/৯ ২০১৯ ইং তারিখে ফতুল্লা রেল লাইন বটতলা এলাকায় মুন্না নামের এক ব্যাক্তিকে কুপিয়ে ও এসিড দিয়ে জ্বলসে দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এক দল সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় আহত মুন্নার ভাই শাওন বাদী হয়ে ১/১০/২০১৯ ইং তারিখে ফতুল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় রফিকুল ইসলাম টিপু ওরফে বরিশাইল্লা টিপু কে প্রধান আসামী এবং আমার স্বামী সাইফুল কে ২ নং আসামী সহ আরো চার জনের নাম উল্লখ্য সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে(মামলা নং-১(১০)১৯)। ঘটনার রাতেই পুলিশ আমার স্বামী সাইফুল কে গ্রেফতার করে। বর্তমানে আমার স্বামী সাইফুল কারাগারে আটক রয়েছে। অপরদিকে মামলাটি পিবিআইতে তদন্তাধীন রয়েছে। পিবিআইয়ের কর্মকর্তা জহির বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন। জহির স্যার তদন্তকালীনবস্থার শুরতেই সে সহ তার সাথে থাকা পিবি আই সদস্যরা আমার স্বামীর বড় ভাইদের প্রস্তাব দেয় যে, যদি আমার স্বামী বরিশাইল্লা টিপু সহ অপর আসামীদের নাম বাদ দিয়ে অপরাধের সকল দায় নিজে একাই করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে তাহলে আমার সকল প্রকার সাংসারিক খরচ বহন সহ আমার স্বামীকে জেল থেকে জামিনে বের করার সকল খরচ বহন করবে মামলার প্রধান আসামী বরিশাইল্লা টিপু। পিবিআই কর্মকর্তাদের এরপর প্রস্তাব আমরা ফিরিয়ে দিলে তারা আমাদের নিকট থেকে ২ লাখ টাকা দাবী করে। কিন্তু আমরা তা প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করলে আমার স্বামী সাইফুৃলকে রিামন্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের নামে অমানুষিক নির্যাতন করে। যা আমি সহ পরিবারের সদস্যরা তাকে জেল খানায় দেখতে গেলে আমি আমার স্বামীর মুখে শুনতে পাই যে,তাকে প্রথমে একটি বস্তায় ভরে ইলেক্ট্রিক শক দেয়া হয়,পরবর্তীতে লোহার পাইপ এবং হকিস্টিক দিয়ে তাকে বেদম প্রহার করা হয়,বিশেষ করে আমার স্বামীর দু-পায়ের পাতায় এবং বুকের মাঝে অমানুষিক ভাবে পেটানো হয়। এমনকি তাকে ক্রসফায়ারের হুমকী ও প্রদান করা হয়।

এ রকম অমানুষিক নির্যাতনের পর গত ২০/২/২০২০ ইং তারিখ আদালতে তাদের শেখানো জবানবন্দী প্রদানে বাধ্য করা হয় আমার স্বামীকে।শুুধু তাই নয় দায়ের করা মামলার পুরো বিষয়টি আমার স্বামী একাই করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদানে তাকে এক প্রকার বাধ্য করা হয়। আর এ সকল কিছুই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার প্রধান আসামী রফিকুল ইসলাম টিপুকে বাদ দেয়ার জন্যই করেছে। আমরা লোক মারফত জানতে পারি যে,মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জহিহর স্যার প্রধান আসামী রফিকুল ইসলাম টিপুর নিকট হইতে তার আত্মীয় সোর্স মনিরের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বরিশাইল্লা টিপু কে বাদ দেওয়ার জন্য আমার স্বামীকে নির্যাতন করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদানে বাধ্য করা হয়।

গত২০/২/২০২০ ইং তারিখে আদালতে আমার স্বামীর দেয়া স্বীকাররোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রত্যাহারে চলতি মাসের ১৬ তারিখে নিযুক্ত অ্যাডভোকেটের মাধ্যমে আবেদন করি।উক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত আমার স্বামী এবং নিযুক্ত অ্যাডভোকেটের বয়ান শুনে প্রত্যাহারের আবেদন পত্রটি গ্রহণ করে মামলার মূল নথির সাথে অন্তভুক্ত করার নিদের্শ প্রদান করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন...

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

    © All rights reserved © 2023
    Design & Developed BY M Host BD