নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লার কুতুবপুরে চলছে আওয়ামীলীগ নিধন কর্মযজ্ঞ। তৃনমূল থেকে উঠে আসা আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের হাইব্রিডদের চাপে রয়েছে। দলের পুরনো নেতাকর্মীদের কোনঠাসা করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এসব কারণে দলের অনেকেই রাজনীতি থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিতে শুরু করেছে। জেলা, মহানগর আওয়ামীলীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতার শেল্টারে নব্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এমন অভিযোগ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের।
সূত্র জানায়, নব্য আওয়ামীলীগারদের কূটচালের প্রথম বলি হয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ খালেক। একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাবাস করেছেন দলের তৃনমূল থেকে উঠে আসা এই নেতা। আঃ খালেক আসন্ন কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। এছাড়া বিগত কয়েকটি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রত্যাশী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিগত দিনে কুতুবপুর আওয়ামীলীগকে যারা চাঙ্গা রাখতেন এবং এলাকায় কর্মী সমর্থক রয়েছে তাঁদের টাগের্ট করে দমন-পীড়ন শুরু হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান নব্য আওয়ামীগার মনিরুল আলম সেন্টু এই দমন-পীড়নের মূল হোতা হিসেবে পর্দার আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়ছেন এমন অভিযোগ আওয়ামলীগীগের নেতাকর্মীদের। তাঁদের দাবি, যারা সেন্টুর আজ্ঞাবহ হচ্ছেন তাঁরা নিরাপদ, আর যারা সেন্টুকে এখনো আওয়ামীলীগে মেনে নিতে পারেনি তাঁরা নানা ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। এদের মধ্যে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ খালেক এবং আঃ মালেক অন্যতম। এই তালিকায় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মীরু, আলাউদ্দিন হাওলাদার, জাহাঙ্গীর আলমও রয়েছে। আওয়ামীলীগে হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা নেতার নেতৃত্ব মেনে নিতে না পারায় দলের ত্যাগী নেতাদের নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
আওয়ামীলীগের একাধিক সূত্র জানায়, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন হবে কিছু দিনের মধ্যে, চেয়ারম্যান সেন্টু চাচ্ছেন তাঁর আজ্ঞাবাহ নেতারা কমিটিতে আসুক। ইতোমধ্যে একটি সিন্ডিকেটও গড়ে তুলেছেন তিনি। কিন্তু, দলের পুরনো নেতাকর্মীদের দাবি, যারা তৃনমূল থেকে উঠে এসেছেন এমন নেতারা নেতৃত্বে আসুক। আর এ নিয়েই নব্যদের সাথে পুরনোদের নিরব দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এই দমন-পীড়ন সহ্য করেও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা দলকে সাংগঠনিক ভাবে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন।
Leave a Reply