শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলখানা আমার ট্রেনিং সেন্টার, হ্যান্ডকাফ আমাদের অলঙ্কার। আমাদের জেল জুলুমের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা কাউছার আহমেদ পলাশের সৈনিক। আমরা যারা সংগঠন করি আমাদের পুলিশ,র্যাব কিংবা গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। ভাল কাজ করতে গেলে জেল জুলুম আসবে। গত বুধবার জামিনে মুক্ত হয়ে আলীগঞ্জের লেবার ক্লাবে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য,চাঁদাবাজ আজিজুলকে গত সোমবার (৪ অক্টোবর) বিকালে আলিগঞ্জ থেকে গত ১ লাখ ৭ হাজার ১০০ টাকাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজিজুল হক দীর্ঘদিন যাবৎ ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকায় অবৈধ টোকেন প্রদান করে অটোরিক্সা, টেম্পু, সিএনজি চালকদের নিকট হতে দৈনিক ৫০০ টাকা আদায় এবং এলাকা ভিত্তিক এজেন্ট নিয়োগ করে এলাকায় পরিবহন চালকদের নিকট থেকে অর্থ আদায় করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা থেকে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করতো বরিশাইল্যা আজিজুল বাহিনী। স্থানীয় শ্রমিক লীগ ও যুবলীগের দুই শীর্ষ নেতার শেল্টারে ফতুল্লার পাগলা, পোস্ট অফিস, শিবুমাকের্ট,পঞ্চবটী এলাকায় চাঁদাবাজি করছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। জেলার সাবেক এসপি হারুনের কঠোরতার কারণে আজিজুল বাহিনীর চাঁদাবাজি কিছুদিন বন্ধ থাকলেও এসপি হারুন চলে যাওয়ার পর কৌশল পাল্টে আবারও চাঁদাবাজি শুরু করে। অভিযোগ উঠেছে এবারের চাঁদাবাজির সঙ্গে সহযোগি হিসেবে আজিজুলের পাশে ছিল কথিত যুবলীগ নেতা শাহীন,আলামিনসহ নিজস্ব বাহিনীর একটি বড় অংশ।
এক সময়ের গামেন্টর্স শ্রমিক ছিলেন আজিজুল গামের্ন্টেস চাকরি চলে যাওয়ার পর ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা রিকশা চালানো শুরু করে। এরপর শ্রমিক নেতা কাওছার আহমেদের হাত ধরে চাঁদাবাজিতে নাম লেখান।
এরপর থেকে তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শ্রমিক নেতা পলাশের শেল্টারের আজিজুল বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। বিশাল বাহিনী গড়ে তুলে বিভিন্ন সড়কে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি শুরু করেন। সামন্য বেতনের গামের্ন্টস শ্রমিক থেকে এখন কোটিপতি আজিজুলের রয়েছে অঢেল সম্পদ।
সূত্র জানায়, সাবেক এসপি হারুন এ জেলায় আসার পর কিছু দিন আজিজুল গাঁ ঢাকা দিয়েছিলেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও প্রকাশ্যে আসেন। এসপি হারুন চলে যাওয়ার পর চাঁদাবাজির কৌশল পাল্টে আবারও চাঁদা আদায় শুরু করে।
Leave a Reply