বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ফতুল্লা জালকুড়িস্থ দিপ্তি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র থেকে হাত- পা বাধা অবস্থায় নির্যাতিত ব্যাংক কর্মকর্তা শাহাদাত (৪০) কে উদ্বার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।উদ্ধার হওয়া ব্যাংক কর্মকর্তা কে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের লোকজন মারধর সহ মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে বলে জানা যায়। উদ্ধারকৃত ব্যাংক কর্মকর্তা জেলার সদর থানার ডনচেম্বার এলাকার মৃত হাবিবুল্লাহ মাস্টারের পুত্র ও টানবাজার শাখার অগ্রনী ব্যাংকের ম্যানেজার বলে জানা যায়।
শনিবার(৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ফতুল্লা থানার জালকুড়িস্থ দিপ্তি মাদকাসক্ত নিরাময় চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে তাকে উদ্বার করে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে থানায় নিয়ে আসা হয়।এ ঘটনায় দিপ্তি মাদক নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক খোকন(৪৩)কে আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।আটককৃত খোকন সদর থানার ৬৫ নং বি,কে রোডের মৃত আব্দুর রশিদ মিয়ার পুত্র।
ঘটনার বিবরনীতে ব্যাংক কর্মকর্তা শাহাদাতের ভাতিজা মোঃ ইয়াসিন জানায়,শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে ৮/১০ জন লোক তার চাচাকে মারতে মারতে টেনে হিচড়ে বি,কে,এম,ই লেখা সাদা মাইক্রোবাসে (ঢাকা মেট্রো-চ-৫৩-৮৩১৬) করে তুলে নিয়ে যায়।এ বিষয়ে তারা সদর থানাকে অবগত করার পাশাপাশি ৯৯৯ -এ ফোন করে।পরে ফতুল্লা থানা পুলিশের এস,আই শামীম রাত সাড়ে তিনটার দিকে ফতুল্লা থানা এলাকার জালকুড়িস্থ দিপ্তি মাদকাসক্ত নিরাময় চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে তার চাচা কে উদ্বার করে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায়।
ঘটনার শিকার ব্যাংক কর্মকর্তা শাহাদাত জানান,বি,কে,এম,ই লেখা সাদা মাইক্রোবাসে করে তাকে নিয়ে গয়ে হাত-পা বেধে ব্যাপক টর্চার করা হয়।এক পর্যায়ে তারা তার মাথা ন্যাড়া করে দেয় এবং তাকে ইনজেকশন পুশ করার চেস্টা করে।পরে তাকে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এস,আই শামীম জানায়,৯৯৯- এ ফোন পেয়ে দিপ্তি মাদক নিরাময় চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে আহতবস্থায় ব্যাংকার শাহাদাত কে উদ্বার সহ খোকন নামের একজন কে আটক করে নিয়ে আসা হয়।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র মতে,পারিবারিক কলহের জের ধরে ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী তার স্বামীকে মাদকাদক্ত আখ্যায়িত করে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য আবেদন করলে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের লোকজন শনিবার বিকেলে ব্যাংক কর্মকর্তাকে মাইক্রোবাসে করে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে উদ্ধার হওয়া ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী ঢাকা মতিঝিল শাখার সাউথ ইস্ট ব্যাংকে কর্মরত রওশন আরা জানায়,তার স্বামী একজন মাদকাসক্ত ও মানসীক রুগী। তার স্বামী তাকে নিয়মিত মানসীক এবং শারিরীক নির্যাতন করতো।এবং বিকৃতি চরিত্রের বলে তিনি দাবী করেন।
Leave a Reply