আবদুর রহিমঃ বিএনপিতে কোন্দল আর নেতায় নেতায় দ্বন্দ্বের কারণে সাংগঠনিক ভীত নড়বড়ে হয়ে পরেছে। প্রভাব পরেছে এড.তৈমুর আলম ও এটিএম কামালকে বহিস্কারের বিষয়টিও। আগের মতো দলীয় কর্মসূচিতেও নেতাকর্মীদের অংশ নিচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে দলের হয়ে জেল, জুলুম, নিযার্তন সহ্য করা পরীক্ষিত নেতাদের সামান্য ভুলের কারণে দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি সহজে মেনে নিতে পারেনি। ফলে বিএনপির দলীয় কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছে না দলের বৃহত একটি অংশের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও বিএনপিতে একাধিক গ্রুপ সক্রিয় থাকায় দলের সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে এর একটা প্রভাব পরেছে। অনেকেই নিজের খেয়ে আর ঝামেলায় জরাতে চাচ্ছে না। নেতাদের টানাটানির কারণে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে হচ্ছে নেতাকর্মীদের। আর এই ঠুনকো ঝামেলা এড়াতে রাজনীতির মাঠ ত্যাগ করেছে অনেকে।

অপরদিকে, নাসির উদ্দিন ও মামুন মাহমুদ অনুমোদিত কমিটি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এই বিতর্কের কারণে অনেক দলীয় কর্মকান্ড থেকে নিজেদের ঘুটিয়া নিয়েছে। তবে নারায়নগঞ্জ বিএনপির এই বিরোধ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে এমন আশঙ্কা বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। ইতোমধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদের উপর চড়াও হয়েছিল বিএনপির একটি অংশ। তবে অল্পের জন্য মামুন মাহমুদ রক্ষা পেয়েছেন। এ ঘটনার পরই মামুন মাহমুদ ক্ষিপ্ত হয়েছে। বিএনপির ঐ অংশের উপর। নতুন করে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে। এই বিরোধের জের ধরে শহিদুল ইসলাম টিটুকে ফতুল্লা থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটি থেকে অনাস্থা দেয়ারও গুঞ্জন চলছে সর্বত্র।

এছাড়া কমিটি গঠনকে ঘিরে পুরো জেলা জুড়ে বিএনপিতে বিরোধ শুরু হয়েছে। আর এ বিরোধের কারণে বিএনপি সাংগঠনিক ভাবে দূর্বল হয়ে পরেছে এমন দাবি বিএনপির তৃনমূলের নেতাকর্মীদের।