নিজস্ব প্রতিবেদক: বড় ভাইয়ের শিক্ষক কে মায়ের অসুস্থতার কথা বলে বাসায় ডেকে এনে নারীর ফাদেঁ ফেলে দৈহিক মেলামেশার ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবার হুমকী প্রদান করে পাচঁ লাখ টাকা দাবী করার অভিযোগে ব্ল্যাক মেইলিং গ্রুপের মূল হোতা মোঃ সালাউদ্দিন শেখ ওরফে জনি (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১’র সদস্যরা।গ্রেফতারকৃত জনি ফতুল্লা থানার শিয়াচর পিলকুনি এলাকার মৃত সামছুদ্দোহার পুত্র।
এ ঘটনায় ব্ল্যাক মেইলিংয়ের শিকার শিক্ষক আবু নাঈম মোঃ রাফি বাদী হয়ে শুক্রবার ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।এর আগে বাদী গত মাসের ২৪ তারিখে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে র্যাব-১১’র নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
পরে র্যাব-১১’র সদস্যরা ঘটনার সত্যতা পেয়ে বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাতে ফতুল্লা থানার পিলকুনিস্থ ফাতেমা আবাসন নামক দোতালা ভবনের দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে জনি কে আটক করে।এ সময় তার নিকট থেকে ধারন করা ভিডিও সহ ভিডিও ধারন করার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে যে,পিলকুনির সামসউদ্দিনের পুত্র বাদী আবু নাঈম মোঃ রাফি একজন শিক্ষক।গ্রেফতারকৃত জনি তার ছাত্র আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই। সে সুবাদে জনি পূর্ব পরিচিত। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে গত মাসের ২৩ তারিখে জনি তার মায়ের অসুস্থতার কথা বলে বাদীকে মোবাইল ফোনে বিকেল ৫ টার দিকে বাসায় ডেকে নিয়ে আসে।বাসায় আসলে এক অজ্ঞাত তরুনীকে নিয়ে এসে জনি জানায় যে মেয়েটিকে চাকুরী দিতে হবে।এ সময় জনি তার অজ্ঞাতসারে তাকে কোকের সাথেযৌন উত্তেজক টেবলেট তাকে খেতে বলে।সে তা সেবন করে।এ সময় তরুনীটি তাকে চাকুরীর জন্য বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গিমায় তাকে আকৃস্ট করে দৈহিক মিলনে প্রলুব্দ করে।তখন সে নিজেকে সামলাতে না পেরে তরুনীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে লিপ্ত হয়।বিষয়টি জনি গোপনে ভিডিও ধারন করে।পরে রাত ১০ টার দিকে জনি তাকে মোবাইল ফোন করে জানায় যে,তরুনীর সম্পর্কের বিষয়টি ভিডিও ধারন করা হয়েছে এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার হুমকী দিয়ে তার নিকট পাঁচ লাখ টাকা দাবী করা হয়।এতে করে বাদী ঘটনার পরদিন ২৪ তারিখ র্যাব-১১’র আদমজী কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
উল্লেখ্য যে,গ্রেফতারকৃত জনির বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় ধর্ষন,হত্যা মামলা রয়েছে।মাদক ব্যবসা সহ নারী দিয়ে ফাঁদ তৈরি করে ব্ল্যাক মেইলিংয়েরও বহু সংখ্যক অভিযোগ রয়েছে জনির বিরুদ্ধে।সর্বশেষ তিনি ২০১৮ সালে খাবারের সাথে ট্যাবলেট মিশিয়ে অচেতন করে এক শিশুকে ধর্ষন করে।সে মামলায় ২ বছরেরও বেশী কারাগারে আটক থাকার পর জামিনে বেরিয়ে এসে তার পুরোনো দুই সহোযোগি তোফাজ্জল হোসেন ওরফে মেজর ওরফ তুজু ডাকাত ও আলম ওরফে মাইচ্ছা আলম কে সাথে নিয়ে নিজ বাড়ীতে বসেই ব্ল্যাক মেইলিং সহ সক্রিয় হয়ে উঠে সমাজ বিরোধী নান অপরাধমূলক কর্মকান্ড।
ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান,ব্ল্যাক মেইলিং করার অভিযোগে জনির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।তার সাথে কে জড়িত রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হবে।
Leave a Reply