মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন

বক্তাবলীতে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  পূর্ব বিরোধের জের ধরে ফতুল্লার বক্তাবলীতে দুই গ্রুপে ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।  সোমবার  সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত  উত্তর গোপালনগর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় বেশ কিছু বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আহতরা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সমর্থিত জাকির ও একই এলাকার সামেদ আলীর গ্রুপের মধ্যে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও দফায় দফায় সংঘর্ষ।

এসময় উভয়পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা, টেঁটা, বল্লম, ছুরি, চাপাতি ও রাম দা’সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা, পাল্টা হামলা এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ভাঙচুর করা হয় গ্রামের বেশ কিছু বাড়ির দরজা-জানালার কাঁচ ও আসবাবপত্র। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।

খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ শর্টগানের বেশ কয়েক রাউন্ড রবার বুলেট ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ রিজাউল হক হক দিপু জানান, পূর্বের রেশ ধরে সামেদ আলী বাহিনীর সাথে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর সমর্থিত জাকির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উভয় গ্রুপ কে ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ দিলে সামেদ আলী বাহিনী পিছু হটে যায়।

তবে একটি পরিত্যাক্ত ইট ভাটার ভিতর থেকে চেয়ারম্যান সমর্থিত জাকির বাহিনী পুলিশের উপর ককটেল ছুড়ে মেরে বিস্ফোরন ঘটায় একই সাথে টেটা ও ইটের সুরকি ছুড়ে মারে পুলিশ সদস্যদের উপর।

এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। তবে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য যে, গত মঙ্গলবার শওকত চেয়ারম্যানের বাড়িতে সামেদ আলী বাহিনী হামলা চালিয়ে নারী সহ অন্তত ৬জনকে মারধর করে আহত করে। এসময় চেয়ারম্যানের ভাতিজার বাড়ি ভাংচুর করা হয়।

জানাযায়, ফতুল্লার একটি ভয়ঙ্কর এলাকার নাম আকবরনগর। এ এলাকায় ইট খোলায় চাঁদাবাজী ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে সামেদ আলী ও রহিম হাজী নামে দুটি গ্রুপের মধ্যে প্রায় সময় সংঘর্ষ হয়। এতে একাধিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

এদের মধ্যে সামেদ আলী গ্রুপকে স্থানীয় বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী সরাসরি শেল্টার দিতেন। তার শেল্টারের কারনে আকবরনগরসহ বক্তাবলী ইউনিয়নে মাদক ব্যবসা, ইটখোলায় চাঁদাবাজীসহ নানা ধরনের অপরাধ করে আসছে সামেদ আলী বাহিনীর সদস্যরা। সামেদ আলী বাহিনী এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এখন খোদ শেল্টারদাতা শওকত আলীর ঘার চেপে ধরতে দ্বিধা করেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন...

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

    © All rights reserved © 2023
    Design & Developed BY M Host BD