বন্দর প্রতিনিধিঃ বন্দরের আমিন আবাসিক এলাকার আরমান নামের এক যুবককে সৌদি আরব পাঠানো পর থেকে কোন হদিস পাচ্ছেনা তার পরিবার। তাদের অভিযোগ তাকে বিদেশ পাঠানোর নামে পাচার করে দিয়েছেন বন্দর ছালেহ নগর এলাকার মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী সেলিনা। ভুক্তভোগী’র মা বলেন, সেলিনা মুলত মানবপাচারকারী দলের সদস্য। তারা পুর্বে সেটা জানতেননা। ছেলে আরমানের সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার না পেয়ে আলাদতে মামলা দায়ের করেন ভূক্তভোগীর মা পারুল।
পারুল আরো জানান, মানবপাচারকারী সেলিনা প্রলোভন দেখিয়ে আমার আমার ছেলে আরমানকে সৌদি আরব পাঠানোর কথা বলে। আমাদের বলে আরমানকে সৌদি আরব হোটেলে চাকরি দিবে এবং সেখানে গিয়ে মোটা অঙ্কের বেতনে চাকরি পাবে। এজন্য অনেক কষ্ট করে লিখিত ভাবে স্ট্যাম্পে এবং চেক এর মাধ্যমে ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা তুলে দেন মানবপাচারকারী সেলিনার হাতে। ঘটনাটি প্রায় ১ বছর আগে। সৌদি আরব যাওয়ার পর সেলিনার কথার সাথে কোন মিল পায়নি আরমান। তিনি দালালের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতারণার শিকার হচ্ছে বলে বাড়িতে ফোন করে জানান। এভাবে কয়েকমাস পর থেকে আর কোন যোগাযোগ না পাওয়ায় সেলিনার কাছে ছেলের বিষয়ে জানতে গেলে আরমানের মা পারুলকে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখান সেলিনা ও তার ছেলেসহ ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা।
তিনি বলেন, আমার ছেলের খোঁজ না পাওয়ায় সেলিনাসহ বহু লোকের কাছে গিয়েছি তারা কোন সমাধানের আশ্বাস দেয়না। পরে আর কোন উপায় না পেয়ে আদালতে আমি সেলিনার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা করি এবং (অশ্রুসিক্ত) ১ বছর ধরে আমার ছেলের কোন সন্ধান পাচ্ছিনা। আমার ছেলে আরমানের ছোট একটি বাচ্চা আছে তার কি হবে জানি না। আমরা খুব কষ্টের মধ্যে জীবন-যাপন করছি।
আমি এই বিষয়ে প্রশাসন ও আদালতের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
Leave a Reply