আবদুর রহিম
জেলা বিএনপিতে ল্যাং মারার রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে চললেও, বতর্মান সময়ে এই চর্চা বেশী হচ্ছে। ক্ষমতায় নেই দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে, রাজনৈতিক মামলায় যবুথবু অবস্থা। অনেক নেতা দীর্ঘদিন ফেরারি জীবন যাপন করেছে। কারাবাস করেছে মাসের পর মাস।
কিন্তু, দলের এসব ত্যাগী নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ন না করে উল্টো মাইনাস করার চেষ্টা চলছে এমন অভিযোগ বিএনপির একাধিক নেতার। কমিটিতে সুবিধাবাদী, আওয়ামী ঘেঁষা, হাইব্রিড নেতাদের দলের স্থান দেয়া নিয়ে চলছে বিরোধ, বিভেদ।
দলের প্রতিটি কর্মসূচিতে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও সংঘাতের কারণে সম্মেলন পন্ড হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। দলের একাধিক নেতাকর্মী রক্তাক্ত হয়েছে। আর এসব নিয়ে দলের বিরোধ এখন চরমে রূপ নিয়েছে।
সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে একাধিক বলয় সক্রিয় রয়েছে। জেলার কয়েকজন নেতাকে ঘিরে এসব বলয় গড়ে উঠেছে। কমিটিতে স্থান পাওয়া, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়েও নানা হিসেব মিলাতে ব্যস্ত রয়েছে নেতারা। আর এসব কারণে বিএনপির শীর্ষ নেতারা বিরোধে জড়িয়ে পরেছে। আগামী নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এসব বিরোধ সৃষ্টিতে পর্দার আড়ালে থেকে কলকাঠি নাড়ছে এমন অভিযোগ বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের।
অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কমিটি নিয়ে দলের ভেতরে তুমুল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এই প্রতিযোগিতা প্রবীণদের পাশাপাশি নবীনরাও অংশ নিয়েছে। তবে এই প্রতিযোগিতায় কে বা কারা জয়ী হয়, এটাই এখন দেখার বিষয়। সূত্র বলছে, বিএনপি আহবায়ক কমিটি গঠনের পর নারায়ণগঞ্জে নেতৃত্ব নিয়ে এমন প্রতিযোগিতা লক্ষ করা যায়নি। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির পদ পেতে এমন প্রতিযোতার বিষয়টি অবাক করার মতো। তবে এবারের কমিটিতে যদি ত্যাগী এবং পরীক্ষিত নেতাদের অবমূল্যায়ন করা হয় তা হলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে বিদ্রোহ দেখা দিতে পারে এমন শঙ্কা বিএনপির তৃনমূলের।
Leave a Reply