March 29, 2024, 6:31 am

বুয়েট ছাত্রের লাশ উদ্ধার

ডেস্ক নিউজঃ  রাজধানীর ডেমরা থেকে নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পরে নারায়ণগঞ্জের একটি নদী থেকে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পরে পকেটে থাকা মোবাইল ফোনের সিম দিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের মরদেহ শনাক্ত হয়।

সোমবার (০৭ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম। এর আগে শনিবার (০৫ নভেম্বর) পরিবারের পক্ষ থেকে রামপুরা থানায় নিঁখোজের একটি জিডি করা হয়।

ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, গত ০৫ নভেম্বর বুয়েট শিক্ষার্থীর বাবা কাজী নূর উদ্দিন রানা থানায় হাজারি হয়ে ছেলে নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, তার ছেলে ফারদিন বুয়েটে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ৩য় বর্ষের ছাত্র।

গত ৪ নভেম্বর ৩টার দিকে তিনি ফারদিন নিজ ভাড়া বাসা কোনাপাড়া ডেমরা থেকে বুয়েট হলের উদ্দেশে বের হয়। গত ০৫ নভেম্বর সকাল ১০টায় বুয়েটে তার একটা পরীক্ষা ছিল। কিন্তু তিনি জানতে পারেন যে ফারদীন সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি।

তারপর ফারদীনের মেয়ে বন্ধু বুসরার সাথে কথা বলে জানতে পারেন যে, ফারদীন তার সঙ্গে রিক্সায় করে এসে রামপুরা ট্রাফিক বক্সের সামনে নেমে যায়। এর পর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে রামপুরা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।

ওসি আরও জানান, জিডি হওয়ার পর থেকে রামপুরা থানা পুলিশ, পুলিশ হেডকোয়র্টার্স, আইএডি ও ডিবির বিভিন্ন অফিসার একনিষ্ঠভাবে তদন্ত শুরু করে। পরে সোমবার বিকেল ৫টার দিকে রামপুরা থানা থেকে ফারদীনের নাম্বারে ফোন করলে রিং হয়। অপর প্রান্তে নারায়নগঞ্জ সদর নৌ-পুলিশের (এসআই) মো. মনির হোসেন ফোন রিসিফ করেন। তিনি জানান যে, সেই নম্বরটি একটা মরদেহের পকেটে থাকা মোবাইলের সিম। তাৎক্ষনিক মরদেহটির ছবি পাঠাতে বলা হলে ভিকটিমের মেজ ভাই তাজিম (২১) ছবি দেখে ফারদিনকে শনাক্ত করেন। অতঃপর বিষয়টি উর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। জিডি তদন্ত সংশ্লিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রামপুরা থানা পুলিশের কাছে আছে বলেও জানান ওসি রফিকুল ইসলাম।

নিউজটি শেয়ার করুন...

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

    © All rights reserved © 2023
    Design & Developed BY M Host BD