নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে, শ্রমিক লীগ এবং যুবলীগের শেল্টারের ফতুল্লার অটো চাঁদাবাজ আজিজুল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশা থেকে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলেই চালকদের ধরে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার বিকেলে পাগলা বাজার এলাকায় একটি ইজিবাইক আটক করে চাঁদা দাবি করে। এসময় ইজিবাইকের চালক খলিল চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় আজিজুলসহ ১০জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
খলিল জানায়, আজিজুল বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করার কারণে বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি প্রদান করে। গত সোমবার বিকেলে আমি পাগলা বাজারে গেলে চাঁদাবাজ আজিজুলের নেতৃত্বে আমার ইজিবাইক আটক করে আমার কাছে চাঁদা দাবি করলে আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করি। এসময় আজিজুলসহ তাঁর সহযোগিতারা আমাকে বেধড়ক মারধর করে আমার ইজিবাইক রেখে দেয়।
ভুক্তভোগী একাধিক ইজিবাইক চালক জানায়, আজিজুল বাহিনীকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলেই তাঁর বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে আমাদের নানা ভাবে হয়রানি করে থাকে। ইজিবাইক আটক রাখা, সীট খুলে নিয়ে যাওয়া, ব্যাটারি রেখে দেয়াসহ আমাদের শারীরিক ভাবেও লাঞ্ছিত করে থাকে। আজিজুল বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা না নেয়ায় আমরা এই বাহিনীর কাছে জিম্মী হয়ে পরেছি। স্থানীয় সূত্র জানায়, আজিজুল বাহিনী কখনো শ্রমিক নেতা পলাশ এবং যুবলীগ নেতা মীর সোহেলের নাম ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তুতার করে ফতুল্লায় চাঁদাবাজির রামরাজত্ব কায়েম করেছে। চাষাঢ়া থেকে শুরু করে পোস্তগোলা এবং আশেপাশের শাখা রোডে ইজিবাইক, ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালাতে গেলে আজিজুল বাহিনীকে চাঁদা দিতে হয়। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলেই তাঁর উপর নেমে আসে নির্যাতন। নানা ভাবে হয়রানি করা হয়। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার ও র্যাব সদস্যদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী মহল। উল্লেখ, পুলিশ সুপার হারুন নারায়ণগঞ্জে আসার পর আজিজুল বাহিনী আত্মগোপন করে।
Leave a Reply