শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৭ অপরাহ্ন
শহর সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সুরুজ আলী মেম্বারের বাড়ী থেকে প্রিমিয়ার সিমেন্ট ফ্যাক্টরি পর্যন্ত সড়কটির মাঝপথে প্রায় সারাবছর ধরেই জমে থাকে পানি। জমে থাকা এ পানিতে ময়লা আর্বজনা পঁচে র্দূগন্ধে নাক মুখ বন্ধ হয়ে আসে। শুধু তাই নয়, এ পঁচা পানিতে আবার বাসা বেধেছে অসংখ্য পোকামাকর।
অপর দিকে বাধ্য হয়েই এ ময়লা আর্বজনা মিশ্রিত পানি পাড়িয়েই চলাচল করতে হয় প্রায় ৩ সমাজের সহ¯্রাধীক মানুষকে। এর মধ্যে স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও বিশেষ করে মুসল্লিদের এ পঁচা পানি মাড়িয়েই মসজিদে যেতে হয় নামাজ আদায় করতে।
এদিকে বার বার এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য স্থানীয় মেম্বার, এমনকি চেয়ারম্যানের কাছে মৌখিক ও লিখিত আবেদন করলেও সাড়া দেননি তারা। তারা যেন সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন। ফলে অনেকটা অসহায় হয়েই এ দূর্ভোগকে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন এলাকাবাসী। কিন্তু এলাকাবাসীর এ দূর্ভোগ দেখে মেম্বার চেয়ারম্যানের চুপ করে বসে থাকতে পারেন নি সাবেক দৌলত মেম্বারের ছেলে কাশেম সম্রাট জলাবদ্ধতা দূর করনে তিনি নিজ অর্থায়নে রাস্তায় প্রায় আড়াই হাজার বালুর বস্তা ফেলে চলাচলের উপযোগী করে দেন। বর্তমানে তার এ সুব্যবস্থার সুফল ভোগ করছেন তিন সমাজের প্রায় সহ¯্রাধীক মানুষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এলাকাবাসী বলেন, এ রাস্তা থেকে জলাবদ্ধতা দূরীকরনে আমরা কত চেষ্টাই না করছি। একাধীক বার মেম্বার, চেয়ারম্যানের কাছে ধর্না দিয়েও কোন লাভ হয়নি। হাটু পরিমান এ ময়লা পানিতে যাওয়ার পর আমাদের পায়ে অসংখ্য পোকামাকর কামর দিয়ে থাকতো, এছাড়াও ময়লা পানি পারানোর কারণে অনেক পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে হতো আমাদের। পানি পঁচে যাওয়ায় রাস্তাটি পিছল হওয়ার কারণে প্রতিদিন কেউ না কেউ পিছল খেয়ে পানিতে পড়তো। এ দূর্ভোগের কথা বলে শেষ করা যাবেনা।
তারা বলেন, বর্তমানে আমাদের সাবেক মেম্বার দৌতলের ছেলে স¤্রাটে নিজ অর্থায়নে বালুর বস্তা ফেলে চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। যারফলে আজ আমরা স্বচ্ছন্দে ওই রাস্তা দিয়ে গন্তব্যস্থানে যেতে পারছি। এ কাজের জন্য স¤্রাটের জন্য দোয়া এমনিতেই এসে পরে। আমরা স¤্রাটের জন্য অন্তরের অন্তরস্থল থেকে দোয়া করি, আল্লাহ্ স¤্রাটকে দীর্ঘজীবী করুক।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে স¤্রাট বলেন, জনগণের জন্য কাজ করতে হলে জনপ্রতিনিধি হতে হবে আমি এটা বিশ্বাস করিনা। যদি জনগণের সেবা করার সৎ মনমানুষিকতা থাকে, তাহলে জনপ্রতিনিধি না হয়েও জনগণের সেবক হওয়া যায়। এ এলাকার সকল জনসাধারণের সাথে আমার আত্মার সর্ম্পক। তাদের কষ্ট দেখে সত্যি আমার খারাপ লাগে। তাই এ সামান্য কাজটুকু আমি করে দিয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবের স¤্রাট আরো বলেন, আসলে মানুষের জন্য কাজ করতে আমার অনেক ভালো লাগে। মনে আনন্দ পাই। মনের ওই আনন্দ থেকেই মানুষের জন্য কাজ করি। এ ছাড়া আমার আর কোন উদ্দেশ্য নাই।
Leave a Reply