সূত্রমতে, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের নিবার্চনে বিএনপির ডাক সাইটের নেতা মনিরুল আলম সেন্টু হঠাৎ করে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন। এক পর্যায়ে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে শুরু করেন। নানা কৌশলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের কোনঠাসা করার মিশন নিয়ে কাজ শুরু করেন সুচতুর সেন্টু। নিজ বলয় শক্তিশালী করতে বিতর্কীতদের কাছে টানতে শুরু করেন তিনি। মাদক ব্যবসায়ী, কিশোর অপরাধীদেরও শেল্টার দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ কাজে তাঁর ছেলেকেও মাঠে নামাতে ভুল করেনি। তাঁর ছেলেও এখন হাইব্রিড ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে কুতুবপুরের আত্মপ্রকাশ করেছে। তথ্যনুসন্ধানে জানাগেছে, আওয়ামীলীগের প্রধান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া থেকে বিরত ছিলেন সেন্টু। কুতুবপুরের প্রতিটি ইউনিয়নের মেম্বারগন শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর শপথ পাঠে অংশ নিলেও চেয়ারম্যান সেন্টু দেলপাড়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলেও শপথ অনুষ্ঠানে অংশ না নিয়ে তিনি স্কুলের একটি রুমের দরজা,জানালা বন্ধ করে প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করেন। ওই অনুষ্ঠান অংশ নেয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক করেকজন মেম্বার জানায়, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে দেশব্যাপী শপথ অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান সেন্টু অংশ নেয়নি। তিনি একটি রুমে বসে শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করেন। আর এতেই বুঝা যায়, চেয়ারম্যান সেন্টু অন্তর থেকে আওয়ামীলীগকে ঘৃণা করেন, এবং নৌকা প্রতীক নিয়েছেন তাঁর চেয়ারম্যান পদ ধরে রাখার জন্যই। তিনি সুযোগ বুঝে যে কোন সময় বিএনপিতে চলে যাবেন। সূত্রমতে, ঈদের পর চেয়ারম্যান সেন্টু ঈদ পূর্ণ মিলনীর আয়োজন করেন। ওই অনুষ্ঠানে বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলে তিনি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে পৃথকভাবে আরো একটি ঈদ পূর্ণ মিলনীর আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী এবং সাংসদ শামীম ওসমানের ছবি ছোট করে দিয়ে নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন নৌকার এই হাইব্রিড চেয়ারম্যান। এই অনুষ্ঠানেও কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা একত্রিত করতে ব্যর্থ হোন। পবিত্র রমজানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেও তিনি আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে তাঁর আজ্ঞাবাহ নেতাদের দাওয়াত দিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন।
Leave a Reply