September 26, 2023, 5:32 am
আবদুর রহিম: নির্বাচনী সহিংসতা রোধে নির্বাচন কমিশন এবং স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর হুঁশিয়ারির পরও থেমে নেই সংঘাত-সংঘর্ষ। জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনকে ঘিরে একের পর এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা, অভিযোগও হচ্ছে। এতো কিছুর পরও নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধ না হওয়ায় সাধারন ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসনের কঠোরতায় সহিংসতা বন্ধ না হওয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। দাবি উঠেছে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরীর করার। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার পরামর্শ বোদ্ধা মহলের।
সূত্রমতে, নির্বাচন যতোই সামনে ঘনিয়ে আসছে, সহিংসতার ঘটনো ততোই বৃদ্ধি পাচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে প্রায় প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন এলাকায় হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে উত্তাপ-উত্তেজনা বেড়েই চলছে। এসব ঘটনায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মামলা, লিখিত অভিযোগ হয়েছে বিভিন্ন থানায়। এসব মামলায় আসামী করা হয়েছে চেয়ারম্যান এবং মেম্বার প্রার্থী। অনেকে এসব মামলার কারণে নির্বাচনী মাঠ ত্যাগে বাধ্য হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন।
তবে নির্বাচনী প্রচারনাকে ঘিরে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে প্রশাসন কঠোর বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু, তারপরও সহিংসতা থেমে নেই। নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গত কয়েক দিন ধরেই জেলা প্রশাসক,পুলিম সুপার বিভিন্ন উপজেলায় সভা করেছেন। এসব সভা থেকে জেলা প্রশাসন মোস্তাইন বিল্লাহ ও পুলিশ সুপার মো: জায়েদুল আলম কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা নারায়ণগঞ্জে একটা সুন্দর, সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন দেখতে চাই। যে পরিবেশটাকে বিদঘুটে করার চেষ্টা করবেন বা নষ্ট করার চেষ্টা করবেন তাকে আমরা আইনের আওতায় আনবো। এটা আপনারা হোন অথবা আমার নিজের কর্মকর্তারা হোক আইনের বাইরে কেউ থাকবে না। আপনাদের কাছে একটাই অনুরোধ, আপনারা নিজেরা দয়া করে কোন আইন ভঙ্গ করার চেষ্টা করবেন না, আইন হাতে তুলে নিবেন না। আপনাদের পার্শ্ববর্তী জেলায় চার চারটি মায়ের বুক খালি হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যদি ঘটে তাহলে আমার চাইতে রাগান্বিত কেউ হবে না। আমি কোন মায়ের বুক খালি হতে দেখতে চাই না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, অপনারা মন্দ লোকের কথায় কান না দিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে ভোটারের মন জয় করার চেষ্টা করেন। অন্য কোনোভাবে আপনি ভোটে কোনো সুবিধা পাবেন না। আপনি যে বা যাই হোন না কেন। কোনোভাবেই পেশি শক্তি বা কোনো ফাইনেন্সিয়াল পাওয়ার হতে দিব না। যারা নির্বাচনি আচরণবিধি মানবে না তারা অবশ্যই আইনে আওতায় আসবে। পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেছেন, আমরা দল মত নির্বিশেষে কোনো নির্দিষ্ট মার্কার নয় জনগণের জন্য কাজ করছি জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। আমরা যারা প্রশাসনের কর্মকর্তা আছি আপনাদের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। কেউ যদি কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে চায় তার ঠিকানা হবে জেলখানায়। যদি কেউ ভয়ভীতি দেখিয়ে থাকেন তাহলে তিনি নির্বাচনী এলাকায় থাকবেন না।
Leave a Reply