নিজস্ব প্রতিবেদক
ফতুল্লার কুতুবপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ মির হোসেন মিরুর বাড়ীর গেইটে রাতের অন্ধকারে তালা মেরে হাত বোমার বিস্ফোরণের ঘটনায় একে অপরকে দোষারপ করে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করছে মরি হোসেন মিরু ও তার প্রতিপক্ষ চাঁদ সেলিম।

শনিবার দুপুরে তারা ফতুল্লা প্রেস ক্লাবে পৃথক পৃথক সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

এর আগে তারা ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে স্বেচ্ছা সেবক লীগ নেতা মির হোসেন মিরু বলেন,ইতিপূর্বেও তাকে হত্যার চেস্টা করা হয়েছিলো।ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে গেলেও পঙ্গুত্ব জীবন বরন করতে হয়েছে তাকে। সে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত কয়েক দিন পূর্বে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী করেছিলেন। কিন্ত তার বাড়ীর গেইটে শুক্রবার রাতে বোমা বিস্ফোরন ও গেইটে তালা বদ্ধ করার  ঘটনার পর আজ(শনিবার) তিনি ইমরান,লিমন, চাঁদ সেলিমের নাম উল্লেখ্য করে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি ঘটনার সুস্ঠ তদন্তের দাবী সহ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন সমাপ্ত করেন।

অপরদিকে মিরুর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার সুস্ঠ তদন্তের দাবী জানিয়ে থানার লিখিত অভযোগের পর ফতুল্লা প্রেস ক্লাবে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন চাদ সেলিম। তিনি বলেন,মিরুর সাথে আর্থিক লেনদেনের একটি বিষয় নিয়ে গত তিনদিন পূর্বে মিরুর বাসাতেই কথা কাটাকাটি হয়। এসময় মিরু তাকে বলে যে তার কথার অবাধ্য হলে ভিপি রাজিব হত্যা মামলার মতো তাকে আরো মামলায় জড়ানো হবে।বন্ধু থেকে শত্রু কেনো হলো সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,মিরুর কথা মতো চাঁদাবজী সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড না করাতেই মিরু তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। ইতিপূ্র্বে ও তিনি নারায়ণগঞ্জে গিয়ে মিরুর বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলন করার পরেরই তাকে ভিপি রাজিব হত্যা মামলায় আসামী করা হয়। এবার ও মিরু বোমা বিস্ফোরন ও তালা মারার ঘটনা সাজিয়ে তাকে মামলা দেওয়ার চেস্টা করছে। তিনি এর সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করেছেন।

উল্লেখ্য যে, শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার কুতুবপুর শাহিমহল্লাস্থ মিরুর বাড়ীর গেইটে তালাবদ্ধ করে দিয়ে হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় দূবৃত্তরা।

সংবাদ পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ শনিবার ভোরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরিত হাত বোমার আলামত উদ্ধার সহ এলাকাবাসীর সহায়তায় গেইটের তালা ভেঙ্গে ফেলে।

ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান,সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরিত বোমার আলামাত সংগ্রন করেন। এবং স্থানীয়বাসীর সহায়তায় মিরুর বাড়ীর গেইটের তালা ভাঙ্গেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।