বন্দর প্রতিনিধিঃ “এখন ঘুমাই রাত ২টায় উঠতে হবে নাহয় সকালে না খেয়ে থাকতে হবে” “খোকা রাতে বাড়িতে খাবার নেই বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসিস” শুনো আজকে লাঞ্চ অফিস থেকে বের হয়ে একটা হোটেল থেকে খেয়ে নিও চুলায় একফোটাও আগুন নাই” ” বাচ্চাকে যে আজকে কি খাওয়াবো??
হ্যা,এগুলো কোন সিনেমার সংলাপ নয় ” তীব্র গ্যাস সংকটকালীন সময়ে এভাবেই নিজেদের নিত্যদিনের রুটিন তৈরি করছে বন্দরবাসী। কোথাও মধ্যরাতে কোথাও বা ভোরে ঠিক কখন নাগাদ চুলায় আগুন জ্বলবে তা না জানলে হয়তো আপনাকে না খেয়েই থাকতে হবে।
কিছু এলাকায় সন্ধ্যায় গ্যাসের চাপ খানিকটা বাড়লে দুই কাপ চায়ের পানি গরম হতেই লেগে যায় এক ঘণ্টা। আবার কোথাও সারা দিনই টিমটিম করে চুলা জ্বলে। কিন্তু তা রান্না করার জন্য যথেষ্ট নয়। আবার কোথাও একেবারেই জ্বলে না চুলা। ঘোষিত শতভাগ বিদ্যুতায়িত বন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের যে চরম সংকট চলছে, এটা তার একটি খণ্ডচিত্র। গত কয়েক বছরে শীতের মৌসুমে ঘুরেফিরে আসা এই সংকট একটি স্থায়ী রূপ পেয়ে গেছে। আর বরাবরের মতোই এই সংকট উত্তরণে কোন আশার বাণী শুনাতে পারছেন না এসব এলাকায় গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা তিতাস গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড।
এনিয়ে সামাজিক মাধ্যম সহ প্রায় ২৫ জন গ্রাহকের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদক( ইমন)। তাঁরা প্রত্যেকেই তাঁদের এলাকায় গ্যাস একেবারেই না থাকা কিংবা থাকলেও তা কাজে না আসার কথা বলেছেন। এ অবস্থায় বিকল্প হিসেবে তাঁদের কেউ বেছে নিয়েছেন এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার কিংবা কেরোসিনের স্টোভ অথবা মাটির চুলা। আবার কেউ কেউ পরিস্থিতি অনুসারে হোটেল থেকে খাবার আনিয়ে দিন পাড় করছেন।
এবিষয়ে ধামগড় ইউনিয়নের এক গৃহিণী জানান,কতদিন যাবৎ বাড়িতে সকালের নাশতা তৈরি হয় না তার হিসেব আমার জানা নেই,সারা দিনে চুলা জ্বলে না। কেবল রাতের খাবারটা লাকরি-খড়ি দিতে বাড়িতে তৈরি করা হয়। নাসিক’র ১৯নং ওয়ার্ডের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, গ্যাস সংকটের এই মহামারী দশায় সপ্তাহখানের মধ্যে গ্যাসে এককাপ “চা” পর্যন্ত বানাতে পারেনি তিনি। কলাগাছিয়া ইউনিয়নের এক বৃদ্ধা বলেন, আমি বাজান গরিব মানু ” গ্যাসের বিলই ঠিক মত দিতে পারি না এলপি আনমু ক্যামনে?? ২৫ নং ওয়ার্ডের এক ভাড়াটিয়া বলেন,আমার স্বামী সকাল ৮ টায় অফিসে যায়, সে নাস্তাও খেতে পারে মা লাঞ্চের জন্য নিয়েও যেতে পারেনা।
এবিষয়ে তিতাসগ্যাস এন্ড ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোঃলিঃ এর সোনারগাঁও জোনের ডিজিএম প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ৭দিনের ছুটিতে আছেন বলে জানান, এবং অফিসে যোগাযোগের কথা বলেন। উল্লেখ্য, এবিষয়ে ফের তিতাস কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী প্রতিবেদনে তা উল্লেখ্য করা হবে।
Leave a Reply