নিজস্ব প্রতিবেদক: মাত্র বারো দিনের ব্যবধানে পৃথক দুটি স্থানে একই কায়দায় ইজিবাইক চালকে হত্যা করে ছিনিয়ে নেয়া হয় ব্যাটারী চালিত দুটি ইজিবাইক। প্রথম ঘটনাটি সংঘটিত হয় পিলকুনি পেয়ারা বাগান এলাকায়।গত মাসের ১৭ তারিখে সংঘটিত হওয়া হত্যাকান্ড ও ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রথমে পুলিশ পাগলা দেলপাড়া থেকে নিশাত নামক এক জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর নিশাত আাদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে। সেই জবানবন্দীতে উঠে আসে মামুন,রাসেল সহ আরো এক ঘাতকের নাম। এ হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই গত মাসের ২৯ তারিখে ইসদাইর পৌর স্টেডিয়াম গেইট সংলগ্ন এই একই চক্র রাতের আধারে নেশায় বুধ হয়ে রাজা নামক এক মিশুক চালক কে পূ্র্বের মতো ছুরিকাঘাত করে ছিনিয়ে নিয়ে যায় মিশুক টি। প্রথম ঘটনাটির মতো দ্বিতীয়টি ও একই কায়দায় হওয়ায় পুলিশ ধারনা করে যে একই চক্র এই দ্বিতীয় ঘটনাটির জন্ম দিয়েছে। এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের রহস্যে নেমে পুলিশ প্রথমে শহরের কলেজ রোড থেকে গ্রেফতার করে চক্রের প্রধান মামুন কে।সে ও আদালতে তার সহেযোগিদের নাম উল্লেখ্য করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।এর একদিন পর পুলিশ ইসদাইর থেকে ছিনিয়ে নেয়া মিশুক সহ গ্রেফতার করে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দীতে প্রকাশ করা রাসেল কে।

জবানবন্দীর সূত্র ধরে শনিবার(২ জুলাই)রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জেলা পরিষদ সংলগ্ন মো.আসাদুজ্জামানের ছেলে মোঃ রাজু আহমেদ(৩৮) ও পূর্ব ইসদাইর এলাকার সামাদ মিস্ত্রির ছেলে মোঃ রিপন (২২)কে গ্রেফতার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ একই রাতে ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকায় অভিযান চালিয়ে শেখ খোরশেদ আলমের ছেলে শেখ শহিদ ওরফে সেলিম(৫০) কে গ্রেফতার করে।এ সময় তাদের নিকট থেকে ছয়টি চোরাই ইজিবাইক উদ্ধার করে পুলিশ।
দুটি হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন সহ গ্রেফতার ও ইজিবাইক উদ্ধারের ঘটনায় রোববার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানার সম্মেলন কক্ষে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবাস চন্দ্র সাহা বলেন,আমাদের পুলিশ সুপার মহোদয় নারায়ণগঞ্জকে অপরাধমুক্ত রাখতে কঠোরভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার নির্দেশে জেলা প্রতিটি থানা পুলিশ নিরলসভাবে প্রকৃত অপরাধীদেরকে আটক কওে আইনের আওতায় আনছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান,পরিদর্শক(তদন্ত) তরিকুল ইসলাম,মামলা দুটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ- পরিদর্শক ইমানুর সহ থানার একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা।
Leave a Reply