মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০১:২২ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবর: দেশের এই ক্রান্তিকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাতিকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সাংবাদিকরা। পেশাগত দায়িত্বের বাইরেও অনেকে নীরবে-নিভৃতে করে যাচ্ছেন মানবসেবা।
নারায়ণগঞ্জ শহরের জিমখানা মোড়, যেখানে ভ্যান গাড়ির উপর শুয়ে আছেন চালকেরা। মার্কেট বন্ধ থাকায় কর্মহারা মানুষগুলোকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে খাবার দিচ্ছিলেন একজন মানুষ। মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস, দূর থেকে চেনা মুশকিল। সামনে যেতেই এ প্রতিবেদককে চিনে ফেলে বললেন, ভাই প্লিজ ছবি তুইলেন না।
তিনি দৈনিক যুগান্তর ও ডিবিসি চ্যানেলের রিপোর্টার রাজু আহমেদ। কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করা অসহায় মানুষদের কাছে রাতের আধারে এভাবে নিজের পয়সায় খাবার তুলে দিচ্ছেন।
রাজু বলেন, গত ১০দিন ধরে নিজেই অফিসে রান্না করি। ১২ থেকে ১৬জনের জন্য খাবার তৈরি করে প্যাকেট করি। রাতে বাসায় যাওয়ার সময় শহর ঘুরে ঘুরে এসব অসহায় মানুষদের দেই।
প্রচারের জন্য নয়, আল্লাহকে খুশী করার জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। ছিন্নমূল এসব মানুষও আমাদের সমাজেরই অংশ। তারা খেটে খাওয়া সৎ মানুষ, হাত পাততে পারে না। আমাদের যাদের সামর্থ আছে, তাদের সবার উচিৎ নিরন্ন এ সব মানুষকে সাধ্যমতো সহায়তা করা।
তিনি সবার প্রতি অনুরোধ করেন, সরকারের পাশাপাশি আমরা যেন যার যার অবস্থান থেকে সামর্থ অনুসারে দিন মজুর, খেটে খাওয়া অনাহারী মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াই।
ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন দেশ রূপান্তরের নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রতিনিধি কমল খান। তিনি বলেন, আমি নিজেই মূলত ওই ঘটনার সাক্ষী।
আমি স্বচক্ষে না দেখলে আসলে বিশ্বাস করতাম না, যেহেতু ১০ দিন ধরে তার এ মহানুভবতার কোন প্রচার ছিল না। রাজু আহমেদ আবারও নিউজ না করার অনুরোধ করলেও নিউজটি করার প্রয়োজন বোধ মনে করেছি আমরা।
কারণ, তার এ মহৎ কাজের কথা জানলে আরও ১০জন অনুপ্রানিত হতে পারেন। সমাজে কিছু মানুষ আছেন যারা রাজু আহমেদের মতো নিভৃতচারী।
Leave a Reply