বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন

আজিজের চাঁদাবাজী: ইমেজ নষ্ট হচ্ছে শ্রমিক নেতা পলাশের

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোরতায় বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারো নতুন করে প্যাডেল চালিত রিক্সা ও অটো রিক্সার প্লেট বানিজ্য ও  মাসিক চাদাঁ আদায়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে আজিজুল ওরফে অটো আজিজ ও তার সহকারী চাঁদাবাজ চক্র ।প্লেট প্রতি নেয়া হচ্ছে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা আর  ৩০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে মাসিক চাদাঁ।

কেউ প্লেট নিতে না চাইলে বা মাসিক চাদাঁ প্রদানে অস্বীকার  করলে  তার  রিকশা নিয়ে আটকিয়ে রাখছে নতুবা রিক্সার সিট জোর পূর্বক রেখে দেওয়া হচ্ছে।পরবর্তীতে তা ছাড়িয়ে আনতে  গেলে গুনতে হয় অতিরিক্ত  দেড় থেকে দুই হাজার টাকা।চাদাঁবাজীর অভিযোগে একাধিক বার গ্রেফতার হলেও প্রতিবারই জামিনে বেরিয়ে এসে অতিতের মতো চাদাঁবাজীতে সক্রিয় হয়ে পরে এই শির্ষস্থানীয় চাদাঁবাজ।
তথ্য মতে, এক সময়  প্রকাশ্যে এই চাদাঁবাজ চক্র অটো রিক্সার প্লেট বানিজ্য বা চাদাঁ আদায়ে সক্রিয় থাকলে ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোরোতায় কৌশল পাল্টিয়ে বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে চক্রটি তাদের নিজ নিজ অপকর্মে।
ফতুল্লাঞ্চলে অবস্থিত রিক্সার গ্যারেজগুলোতে বসেই চলছে তাদের প্লেট বানিজ্যের পাশাপাশি চাদাঁবাজি।রিক্সার গ্যারেজ মালিকের মাধ্যমে মাসিক চাদাঁ আদায় সহ একই মাধ্যমে  রিক্সার প্লেট ক্রয় করাতেও বাধ্য করা হয় রিক্সা,অটো রিক্সার মালিকদেরকে।অন্যথায় অটো আজিজের চাদাঁবাজ চক্রের সন্ত্রাসীরা গ্যারেজে এসে  অটো রিক্সার চাবি বা সিট খুলে নিয়ে চলে যায় আলিগঞ্জের অফিসে।কখনো কখনো আটকে রাখা হয়  রিক্সা বা অটো রিক্সা।সেখান থেকে ছাড়িয়ে আনতে হলে প্লেটের মূল্য ছাড়া ও গুনতে হয় অতিরিক্ত দেড় থেকে দুই হাজার টাকা।
জানা যায়, চাদাঁ আদায়ে মাঠ পর্যায়ে সহায়তার জন্য রয়েছে অটো আজিজের রয়েছে বেতনভুক্ত  শতাধিক সন্ত্রাসী। আজিজুলের নিকট থেকে প্লেট না কিনে কেউ ফতুল্লা এলাকায় রিক্সা,অটোরিকশা চালাতে পারেন না। আজিজুলের দেওয়া প্লেট থাকলে সেই রিক্সা বা অটোরিকশা চালককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও কিছু বলেন না।
রিক্সা,অটো রিক্সা চালক ও মালিকদের অভিযোগ, প্রভাবশালী শ্রমিক নেতার আর্শীবাদপুস্ট চাদাঁবাজ আজিজুল কে   প্রশাসনের লোকদের সঙ্গেই চলাফেরা করতে দেখা যায়। তার বিরুদ্ধে বহু সংখ্যক চাদাঁবাজীর  অভিযোগ থাকলেও থানা পুলিশ বর্তমানে অনেকটাই নিশ্চুপ। অন্যান্য পরিবহন চাঁদাবাজদের ব্যাপারে র‌্যাব সরব থাকলেও আজিজুলের ব্যাপারে তারাও চুপ। এ কারণে বাধ্য হয়েই  নিজদের  ইচ্ছেদের বিরুদ্বে  আজিজুলের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকায় প্লেট কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ওই এলাকার ইজিবাইক ও অটোরিকশা চালক ও মালিকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফতুল্লার পাগলা, কাশিপুর, বাংলাবাজার, মুসলিমনগর, ধর্মগঞ্জ, তল্লা, হাজীগঞ্জ, দেলপাড়া, শীবু মার্কেট,আলীগঞ্জ,লালপুর,  তক্কারমাঠ-নন্দলালপুর এলাকায় অন্তত পাঁচ হাজার অটোরিক্সা রয়েছে।আর প্যাডেল চালিত রিক্সা রয়েছে প্রায় দুই হাজার।
শাহালম নামক এক অটোরিক্সা চালক জানায়,আজিজুল এক সময় পাইওনিয়ার নামক পোষাক তৈরীর কারখানায় তার সাথে কাজ করতো।সে সময় আলীগঞ্জের প্রভাবশালী এক শ্রমিক নেতার ছত্রছায়ায় চলে যায় আজিজুল।পরবর্তীতে শ্রমিক আন্দোলনের কবলে পরে কারখানাটি বন্ধ হয়ে গেলে আজিজুল শ্রমিক নেতার বদৌলতে বনে যায় পরিবহন সেক্টরের অটো রিক্সা আর রিক্সা সেক্টরের একক নিয়ন্ত্রণ কর্তা।আর তখন থেকেই শুরু হয়   আজিজুলের  চাদাঁবাজী।আজিজুল থেকে হয়ে অটো আজিজ।
নাম প্রকাশ করার না শর্তে ফতুল্লা রেল স্টেশন এলাকার এক গ্যারেজ মালিক জানান, প্রতিটি এলাকায় তার লোকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, গ্যারেজে গিয়ে মালিক-মহাজনদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে। তিনি আরো বলেন  অতীতে  যারা প্লেট নিয়েছিলেন তাদেরকে  নতুনভাবে প্লেট নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র মতে, আগে  চালকদের নিকট থেকে লাইন খরচ অর্থাৎ যানজট নিরসন কর্মীদের নামে প্রকাশ্যে ৩০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হতো। র‌্যাবের তৎপরতায় তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু র‌্যাব জেলার বিভিন্ন এলাকার পরিবহন চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করতে পারলেও আজিজুলের বিষয়ে তাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ করেন অটোচালকরা।
 জানা যায়,অটো আজিজ ও তার সহোযোগিদের বিরুদ্বে  চাঁদাবাজীর অভিযোগে  ফতুল্লা মডেল থানায় একাধিক মামলা সহ বহু অভিযোগ রয়েছে।একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছেন তিনি।প্রতিবারই জামিনে বেরিয়ে এসে স্ব- মহিমায় অবতীর্ন হয় অটো আজিজ।
নিউজটি শেয়ার করুন...

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

    © All rights reserved © 2023
    Design & Developed BY M Host BD