আবদুর রহিমঃ আজ আতঙ্ক, উৎকণ্ঠার দশ ডিসেম্বর। বিএনপি রাজধানীতে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের আয়োজন করেছে। এই সমাবেশকে ঘিরে বেশ কয়েকদিন ধরে বিএনপির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলের নেতাকর্মীরা এই সমাবেশে যোগদান করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরাও সমাবেশকে ঘিরে নানা প্রস্তুতি নিয়েছে।
কিন্তু এরমধ্যে বেশ কয়েকটি মামলা হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পরেছে। মামলার আসামী হওয়ায় এবং গ্রেফতার এড়াতে নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরা বাড়ী, ঘর ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছে। সমাবেশের আয়োজনের পর থেকেই বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ীতে পুলিশের তল্লাশী শুরু হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেফতার হয়েছে। এরপর থেকে নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক দেখা দেয়।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা গ্রেফতারের ভয়ে নিরাপদে চলে গেছে। সমাবেশে নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরা বিশাল শোডাউন করবে। এদিকে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। বিএনপির যেকোন নৈরাজ্য প্রতিহত করতে মাঠে নামবে তাঁরা। এ অবস্থায় সহিংসতা হওয়ার আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল।
সূত্রমতে, বিএনপির আজকের ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশ নিয়ে নানা শঙ্কা এবং গুঞ্জন দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। ইতোমধ্যে এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জনসমাগম ঘটাতে চায় বিএনপি। এই সমাবেশের মধ্যদিয়ে সরকার পতন ঘটাতে চায় বিএনপি। এলক্ষ্যে সমাবেশ সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। নানা কৌশলও অবলম্বন করছেন দলটির নেতৃবৃন্দ। এ সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীসহ জেলা, মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাল্টা কর্মসূচিসহ সতর্ক পাহারা বসানোর পরিকল্পনায় দিনটি ভিন্ন মাত্রা পাচ্ছে। অনেকে রাজনৈতিক সংঘাতের শঙ্কাও করছেন। ফলে আজ ঢাকায় কী হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে জনমনে নানা কৌতূহল দেখা দিয়েছে।
সমাবেশে অন্তত ২০ লাখ মানুষের সমাগমের টার্গেট ছিল বিএনপির। মহাসমাবেশ সফল করতে ঢাকা বিভাগের যৌথসভাও করেছে বিএনপি। সভায় প্রতিটি সাংগঠনিক জেলাকে প্রস্তুতি নিতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেয়াও হয়েছে। জেলা-মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের অধীন সংশ্লিষ্ট ইউনিটকেও প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যৌথসভায় কোন জেলা বা মহানগর কত লোক নিয়ে মহাসমাবেশে যোগ দেবে তারও একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
এদিকে ৮ডিসেম্বর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরপর থেকে রাজনৈতিক মোড় ভিন্ন দিকে ধাবিত হতে থাকে। অনিশ্চয়তার মধ্যদিয়ে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি পায় বিএনপি। দেশবাসীর দৃষ্টি এখন সমাবেশের দিকে।
Leave a Reply