বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবর: লাইলাতুন নিসফা মিন শাবান তথা অর্ধ শাবানের রাত। এ রাতটি শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত হিসেবে পরিচিত। হিজরি বছরের অষ্টম মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত এটি। সে হিসেবে এবার ৯ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার দিবাগত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শবে বরাত। মুমিন মুসলমান এ রাতটিকে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ মনে করে ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করে থাকে। যদিও সম্মিলিতভাবে ইবাদত সম্পর্কে হাদিসে কোনো দিক-নির্দেশনা নেই।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় অতিবাতি হচ্ছে শবে বরাত। রাষ্ট্রীয় নির্দেশনায় মসজিদে সম্মিলিতভাবে কোনো ইবাদত-বন্দেগিই হবে না। তারপরও দেশের সব মুমিন মুসলমানের কাছে দেশ-জাতি ও বিশ্বমানবতার জন্য দোয়া চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ দেশের সর্বস্তরের আলেম-ওলামা।
রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ রাতে অধিক পরিমাণে ইবাদত করতেন। এ রাতের নির্দিষ্ট কোনো ইবাদত যদিও নেই কিন্তু বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কিছু আমল দ্বারা বিশেষ কিছু ইবাদত প্রমাণিত হয় যা তিনি করেছেন। সে আলোকে এ রাতের কিছু আমল তুলে ধরা হলো-
এ রাতে দীর্ঘ (কেরাতে) তেলাওয়াতে নফল নামাজ পড়া। অর্ধ শাবানের রাতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অধিক পরিমাণে দীর্ঘ নফল নামাজ পড়তেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, এক রাতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুম থেকে ওঠে নামাজে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং সেই নামাজে এতো দীর্ঘ সময় তিনি সেজদায় ছিলেন যে, আমার সন্দেহ হচ্ছিল তিনি ইন্তেকাল করেছেন কিনা। আমি উঠে গিয়ে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। আঙুলটি নড়ে উঠল। আমি নিশ্চিত হলাম যে তিনি বেঁচে আছেন। অতঃপর আমি আপন স্থানে ফিরে এলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেজদা থেকে মাথা উঠালেন এবং নামাজ শেষ করে এক পর্যায়ে বললেন- হে আয়েশা! তুমি কি ভেবেছ যে, আল্লাহর নবী তোমার উপর কোনো অবিচার করেছে? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি এমন কিছুই ভাবিনি। আমি বরং আপনাকে দীর্ঘ সময় সেজদায় দেখে ভয় পাচ্ছিলাম যে, আপনাকে আল্লাহ পাক উঠিয়ে নিলেন কিনা! অতপর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি কি জান আজকের এ রাতটি কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তার রাসুলই ভালো জানেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এ রাতটি শাবানের পঞ্চদশ রজনী। এতে মহান প্রভু তার বান্দাদের উপর বিশেষ দৃষ্টি দেন। ক্ষমাপ্রার্থীদের ক্ষমা করে দেন। রহমতপ্রার্থীদের রহমত দান করেন। অপরদিকে পরশ্রীকাতর ব্যক্তিদের আপন অবস্থায় ছেড়ে দেন।’ (শুয়াবুল ঈমান, আত তারগীব)
Leave a Reply