রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন

আবারো গণপিটুনীর শিকার বিএনপির রুহুল আমীন

নিজস্ব প্রতিবেদক: এস,এস সি পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করে দেবার কথা বলে সাড়ে সাত হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে স্কুল ছাত্রদের হাতে গণপিটুনির শিকার হলেন  জেলা বিএনপি নেতা রুহুল আমীন শিকদার। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটায় ফতুল্লার রেল স্টেশন পুরান বাজার এলাকায়।
ঘটনার বিবরনীতে জানা যায়,ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র তুর্য  ২০১৯ সালেরএস,এস,সি পরীক্ষার স্কুল টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়।এ বিষয়টি জানতে পেরে বিএনপি নেতা রুহুল আমীন শিকদার তার এক বড় ভাইয়ের পরিচয়ের সূত্র ধরে স্কুল ছাত্র তূর্য কে প্রস্তাব দেয় যে তাকে ২০২০ সালের এস,এস,সি পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করে দেবার সামর্থ্য তার রয়েছে।কিন্তু ফরম ফিলাপের নির্ধারীত টাকার চাইতে কিছু বেশী টাকা দিলে সে ফরম ফিলাপ করে দিতে পারবে।এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে ৭৫০০ টাকার চুক্তিতে সে সময় রুহুল আমীন স্কুল টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য ছাত্র   তূর্যর নিকট থেকে ৭৫০০ টাকা নেয়।কিন্তু ফরম ফিলাপ করিয়ে দিতে ব্যর্থ্য হলে প্রতারিত স্কুল ছাত্র তার দেয়া ৭৫০০ টাকা ফেরৎ চাইলে রুহুল আমীন শিকদার টাকা ফেরৎ দিতে নানা টালাবাহানা শুরু করে।আর এই পাওনা টাকা কে কেন্দ্র করেই মঙ্গলবার রাতে প্রতারনার শিকার স্কুল ছাত্র ও তার সহোযোগিরা রুহুল আমীন শিকদার কে মারধর করেছে বলে জানা যায়।
মারধর করার বিষয়টি অস্বীকার করে প্রতারনার শিকার স্কুল ছাত্র তুর্য জানায়,স্কুল টেস্ট পরীক্ষায় সে অকৃতকার্য হলে ফরম ফিলাপ করে দেবার কথা বলে গত বছর রুহুল আমীন শিকদার তার নিকট থেকে ৭৫০০ টাকা নিয়েছিলো।কিন্তু তাকে ফরম ফিলাপ করিয়ে দিতে সে ব্যর্থ হলে তূর্য তার দেওয়া টাকা ফেরৎ চাইলে দেই দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকে।এ নিয়ে স্থানীয় অনেকের কাছেই বিষয়টি জানানো হয়।তারপরে ও সে টাকা দেই দিচ্ছি  করে ঘুরাচ্ছিলো।আজ মঙ্গলবার তার টাকা দেওয়ার কথা ছিলো।তাই সে রুহুল আমিন শিকদারের নিকট টাকা চাইতে গিয়েছিলো।টাকা চাইতে গিয়ে তিনি শুনতে পান যে রুহুল আমীন শিকদারকে কারা যেনো মারধর করেছে।এ কথা শুনতে পেয়ে তিনি রুহুল আমীনের সামনে গেলে টাকা না দিয়ে উল্টো অপবাদ দেয় যে তাকে নাকি ভাড়াটে গুন্ডা বাহিনী দিয়ে মারধর করিয়েছি। এ বিষয়ে ঘটনার সময়  উপস্থিত অনেকের সামনেই স্বীকার করেন যে তূর্য তার নিকট থেকে টাকা পাওনা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে বি,এন,পি নেতা রুহুল আমীন শিকদারের সাথে রয়েছে গভীর সম্পর্ক।আর তাই তা মানুষের নিকট নিকট প্রচার করে স্কুল থেকে সুবিধা পাইয়ে দেবার কথা  বলে  বিভিন্ন সময় স্কুলের বিভিন্ন  ছাত্র এবং অবিভাবকদের নিকট থেকে  হাতিয়ে নিতো মোটা অংকের টাকা।ইতি পূর্বে এ সকল বিষয় নিয়ে ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন স্কুল বিষয়ক নানা প্রতারনার অভিযোগ পেয়ে রুহুল আমীনকে ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশ সহ এ সকল কাজ না করার জন্য একাধিকবার সতর্ক করে দিয়েছিলেন।কিন্তু তবুও রুহুল আমীন শিকদার স্কুল কে ব্যবহার করে সক্রিয় ছিলো নানা প্রতারনামূলক কর্মকান্ডে।
উল্লেখ্য যে,রুহুল আমীন শিকদার বিরুদ্বে রয়েছে হাজারো প্রতারনার অভিযোগ।স্থানীয়  বাজারের নর সুন্দর থেকে শুরু করে মুদি দোকানদার,দর্জি ওয়ালা,ইট- বালু ব্যবসায়ী এমনকি বাজারের মাংস বিক্রেতারা ও পর্যন্ত তার নিকট টাকা পাওনা রয়েছে।মাংস বিক্রেতা লতু সর্দার জানায় সে এবং তার ছেলে দুইজনেই তার নিকট পৃথক পৃথক ভাবে মাংস বিক্রির  টাকা পাওনা রয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় একাধিকজনের নিকট নালিশ দিলেও পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি।এর আগেও জেলা কোর্ট চত্ত্বরে ছাত্রদলের নেতা- কর্মীরা রুহুল আমীন শিকদার কে গনপিটুনি দিয়েছিলো বলে জানা যায়।
নিউজটি শেয়ার করুন...

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

    © All rights reserved © 2023
    Design & Developed BY M Host BD